অশান্ত দার্জিলিংয়ে বিপাকে পর্যটকরা
অনির্দিষ্টকালের বনধ, বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ দোকান, থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গত কয়েকদিনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দার্জিলিং। অশান্ত পাহাড়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। বিপাকে পড়েছে কয়েক হাজার পর্যটক।
২৭ জুন থেকে তিনদিনের জন্য বনধ শিথিল করা হবে। হঠাৎ বনধের ডাকে দার্জিলিংবাসীর পাশাপাশি বিপাকে পড়েছে পর্যটকরা। সকাল থেকেই চকবাজারে বাসের জন্য দীর্ঘ লাইন পর্যটকদের। তবে চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি অনেক পর্যটক। তাদেরই একজন সোনম। তিনি বলেন, ‘নিরাপদে ফেরা তো দূরের কথা। হঠাৎ শুনি সিংমারিতে গুলি চলছে। পুলিশ সকলকে ফাঁকা করে দিল। এমন দার্জিলিং আগে দেখিনি। অনির্দিষ্টকালের বন্ধের ফতোয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে হোটেল। বন্ধ অধিকাংশ দোকান। পিঠে রেক্সিনের ব্যাগ নিয়ে চড়াই ভেঙে অনেকটা হেঁটে উঠে খিদের জ্বালায় রাস্তার এক পাশেই বসে পড়েছিলাম। রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে খিচুড়ি রান্নার ব্যবস্থা করেছিলেন স্থানীয় কয়েকজন। ওই খিচুড়ি না পেলে খালি পেটেই থাকতে হতো।’
বোমা-বারুদের ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে সিংমারির আকাশ, সেই সঙ্গে একের পর এক গাড়িতে আগুন। তিন দিন ধরে লুকিয়ে থাকা মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ শনিবার দিন শেষে ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেছেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ গুলি চালানোয় তাদের চারজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন নারী।
যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার দাবি, পুলিশ গুলি চালায়নি।
রাজ্য পুলিশের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মাও বলেন, হামলাকারীরাই ইট-পাথর-বোতল ছোড়ার ফাঁকে গুলি-বোমা ব্যবহার করেছে।মোর্চার হামলায় অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট কিরণ তামাঙ্গসহ ২৯ জন আহত হয়েছেন। কম্যান্ডান্টের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গও এখন আত্মগোপন করে আছেন। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি জানিয়েছেন, পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে মণীশ গুরুঙ্গ (২৪), বিমল শা শঙ্কর (২৫) ও অনিল রাই (২৭)। তিনজনই বিজনবাড়ির বাসিন্দা। চতুর্থ জন নারী মোর্চার কর্মী হলেও রাত পর্যন্ত তার নাম জানানো হয়নি।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/জেএস)
মন্তব্য করুন