দুই কলেজ শিক্ষার্থী অপহরণে মেডিকেল কর্মচারী বরখাস্ত
বাগেরহাট থেকে দুজন কলেজ শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর চাঁদা দাবির অভিযোগে খুলনা মেডিকেল কলেজের কর্মচারী (কুক মশালচী) মো. দুলাল হাওলাদার (৪৫)কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে খুমেক অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল আহাদ লিখিতভাবে এ আদেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, গত ২২ জুলাই সকালে জিয়ানগর পিরোজপুরের বাসিন্দা আ. সামাদ শেখের মেয়ে সাবিনা আফরিন মুন (১৯) ও খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেতকাশি এলাকার বিএস আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে আল শাহরিয়ার (২১) বাগেরহাটের খানজাহান আলী মাজারে ঘুরতে যান। এসময় বাগেরহাট বাসটার্মিনালে তাদেরকে তাওহিদুল ইসলাম ওরফে নয়ন (২৬) ও রুবেল খান (২৩) নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। এরপর তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের স্টাফ কোয়াটারের ৩/সি কুক মশালচী মো. দুলাল হাওলাদারের বাসায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেন অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে কলেজ শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার তাদেরকে টাকা দেয়ার জন্য রাজি হয়ে ব্যবস্থা করার জন্য কিছু সময়ের জন্য বাহিরে যেতে চান। তারা শাহরিয়ারকে বাহিরে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিলে শাহরিয়ার ঘটনাটি সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে সাবিনা আফরিন মুনকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় ওই তিনজনকে। এঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী সাবিনা আফরিন মুন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন (নং-৩৩)।
মামলার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে পুলিশ লিখিতভাবে অবগত করলে আজ কর্মচারী দুলালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এসডি/ইএস)