কিস্তির টাকার জন্য রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা
সাভারের আশুলিয়ায় কিস্তির বকেয়া ৭০০ টাকার জন্য এক রিকশাচালককে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি সমিতির মালিক ও সহযোগীরা পিটিয়ে মেরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত রিকশাচালক শাহজাহান মিয়া ভাদাইল এলাকায় দুই সন্তান ও স্ত্রীসহ বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বগুড়ার সাড়িয়াকান্দি এলাকায় তার বাড়ি।
পরিবারের একমাত্র অবলম্বন স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা স্ত্রী রিক্তা আক্তার ঢাকাটাইমসকে বলেন, বাড়ির পাশের শহিদুলের মালিকানাধীন স্থানীয় একটি সমিতি থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে নিজেই একটি রিকশা কিনেছিলেন তার স্বামী। ইতিমধ্যে ঋণের টাকা পরিশোধ শেষে মাত্র ৭০০ টাকা বকেয়া ছিল। আর এই বকেয়া টাকার জন্য শনিবার রাতে মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন সমিতির মালিক শহিদুল ও তার সহযোগী নওসেদ।
রিক্তা বলেন, ‘পাষণ্ড মানুষেরা নির্দয়ভাবে আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। অনেক আকুতি করেও বাচঁতে পারলাম না স্বামীকে। আমি নওশেদ ও শাহিদুলসহ অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
নিহত রিকশাচালকের মেয়ে সোনিয়া আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘রাতে বাবাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে যায় শহিদুল ও গ্যারেজ মালিক নওসেদ। এর কিছু সময় পরই বাবা মুঠোফোন দিয়ে বলতে থাকেন, আমাকে বাঁচা মা। ওরা আমাকে মেরে ফেললো। পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে বাবার নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে এ ঘটনার পর রবিবার সকালে অভিযুক্ত গ্যারেজ মালিক ও ওষুধ দোকানদার শহিদুল ইসলামকে এলাকায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তারা পালাতক রয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নওশেদের গ্যারেজ ও শহিদুলে ওষুধ দোকান বন্ধ। তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, খবর পেয়ে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/আইআই/জেবি)