খালেদার প্রার্থিতার বিষয়ে আদেশ স্থগিত
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে সিদ্ধান্ত আসেনি। ২০ মিনিটের শুনানির পর আদেশ স্থগিত করা হয়।
শনিবার নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির তৃতীয় দিনে শুনানি হচ্ছে মোট ২৩৩ জনের। গত রবিবার যাচাই বাছাইয়ে এসব মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এবার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয় খালেদা জিয়ার নামে। কিন্তু দুই মামলায় ১৭ বছর কারাদণ্ড থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সংবিধান অনুযায়ী দুই বছর বা তার চেয়ে বেশি সাজা থাকলে তিনি ভোটের জন্য অযোগ্য হবেন। আর আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দণ্ড বাতিল বা স্থগিত না হলে তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। আর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত হয়নি।
শুনানিতে বিএনপি নেত্রীর পক্ষে কথা বলেন এ জে মোহাম্মদ আলী এবং জয়নুল আবেদীন। তারা বিভিন্ন আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে মনোনয়নপত্রগুলো বৈধ ঘোষণার দাবি জানান।
আগের দিন বিএনপি দুই শতাধিক আসনে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা করলেও খালেদা জিয়ার তিনটি আসন ফাঁকা রাখা হয়। আজকের আপিল শুনানির আদেশের জন্য অপেক্ষায় রাখা হয় বিএনপির বিকল্প প্রার্থীদের।
জয়নুল আবেদীন শুনানি শেষে বলেন, ‘আমরা আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি। এবার আপনারা বিবেচনা করুন।’
এই পর্যায়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনজীবী রিয়াজুল কাওসার খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশের পক্ষে কথা বলেন। তবে তিনি দাঁড়ানোর পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হট্টগোল করেন।
একজন আইনজীবী বলেন, ‘আপনি এখন কথা বলবেন না। আপনি বাইরে আসেন, আমাদের সাথে কথা বলেন।’
বিএনপির আইনজীবী নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নমিনেশন পেপার তো পান নাই। আমাদের দলে জয়েন করেন, মনোনয়নপত্র দিয়ে দেব।’
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘ঠিক আছে, এটা স্থগিত করেছি। এটা পরে বিবেচনা করা হবে। বিকাল পাঁচটায় আবার শুনানি শেষে আদেশ দেওয়া হবে।’
শুনানিতে আরও চার জন নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/০৮ডিসেম্বর/জেআর/ডব্লিউবি