আইপিএলে চেন্নাইয়ে প্রথম ডাক, ধোনিদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন ফিজ

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩১
অ- অ+

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এবারের আইপিএল যাত্রাটা খারাপ কাটেনি মুস্তাফিজুর রহমানের। ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করে সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহকের দৌড়ে আছেন টাইগার এই পেসার। ২০১৬ সাল থেকে আইপিএলের প্রায় নিয়মিত মুখ তিনি। বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘুরে এবার তিনি ঠিকানা বানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। এবারের মিনি নিলাম থেকে চেন্নাইয়ের ডাক পাওয়ার পরের অনুভূতি, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের সঙ্গে আলোচনা ও দলের অভ্যন্তরীণ আবহ নিয়ে কথা বলেছেন এই টাইগার পেসার। যা ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছে।

চেন্নাইয়ের মিডিয়া বিভাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুস্তাফিজ দলটির হয়ে আগে থেকেই খেলার স্বপ্ন দেখার কথা জানান। ফলে তাদের ডাক পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ঘুমে উড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় তার। ফিজের মতে, আইপিএলে খেললে একজন ক্রিকেটার অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস পায়, তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলতেই তিনি বেশি অনুপ্রাণিত হন।

সাক্ষাৎকারে চেন্নাইয়ের এই বাংলাদেশি পেসার বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল। কিন্তু পরদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ছিল, তাই ঘণ্টাখানেকের মতো ঘুমাই, এরপর থেকে শুধু মেসেজ আসতেছিল। রাত দেড়টার মতো বাজে তখন, সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাতে থাকে।’

এরপর চেন্নাইয়ের ক্রিকেটারদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও ধোনি-ব্রাভোদের সঙ্গে কি কথা হয় তা জানান মুস্তাফিজ, ‘এখানকার সবাই খুব আন্তরিক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের। জাতীয় দলে যেমন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, তেমনি এখানেও শুরু থেকে আমার অস্বস্তি লাগেনি। এখানে বড় ভূমিকা ছিল মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের, ডিজে ব্রাভো (চেন্নাইয়ের বোলিং কোচ) এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফের। ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সেট-আপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট কিছু বিষয় জানায়, সেগুলো আমার ডেথ ওভারের বোলিংয়ে খুব ভালো কাজে লাগে।’

ফিজ আরও বলেন, ‘উনার (ধোনি) সঙ্গে বেশিরভাগ বোলিং নিয়েই কথা হয়, তবে যা হয় মাঠেই। এর বাইরে তেমন কথা হয় না। মাহি ভাই এসেই বলেন যে এটা (কৌশল) করলে ভালো হয়। আইপিএলে খেললে একজন ক্রিকেটার অনেক আত্মবিশ্বাস পায়, পুরো টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক সব তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে যদি আমি সফল হই, যেকোনো জায়গায় সফল হওয়াটা সহজ হয়।’

জাতীয় দলের হয়ে খেলা ফিজের কাছে বাড়তি মর্যাদার, একইসঙ্গে ডেথ ওভারে বোলিংয়ের কৌশল নির্ধারণ নিয়েও কথা বলেন এই কাটার মাস্টার, ‘যখন আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলি তখন বাড়তি প্রেরণা কাজ করে। আর বিশেষ করে যখন ভারত, পাকিস্তানসহ অন্য বড় দলের সঙ্গে খেলি, যেখানে হাইলাইটস হয় বেশি, সবমিলিয়ে বড় দলের সঙ্গে খেলতে সবসময় ভালো লাগে। এসব ম্যাচে দর্শক থাকে অনেক বেশি। খেলা দেখি কম, তবে খেলতে পছন্দ করি। তবে টি-টোয়েন্টির শেষ ৪-৫ ওভার দেখা হয়, দেখি ব্যাটসম্যানরা কীভাবে খেলে এবং ওই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিৎ।’

(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/এনবিডব্লিউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টয়োটার ব্যবসা হারাচ্ছে নাভানা?
সারজিস বনাম নওশাদ: ভোটে কার পাল্লা ভারি?
মনোহরদীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা গণধোলাইয়ের শিকার
গণভবন জয় করেছি, এবার জাতীয় সংসদও জয় করব: নাহিদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা