কিশোরগঞ্জে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতিপুত্র বৈধ প্রার্থী

আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:০০

কিশোরগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান ও সাবেক তিন জন রাষ্ট্রপতির ছেলে। তাদের সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে।

জেলার ছয়টি আসনে মোট ২১ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বৈধ ঘোষণা হয়েছে ৩৪ জনের মনোনয়ন। যারা বাদ পড়েছেন তাদের মধ্যে চার জন বিএনপির চিঠি পেয়ে ভোটের প্রস্তুতিতে ছিলেন। তবে তারা বাদ পড়ে গেলেও প্রতিটি আসনেই বিকল্প বৈধ প্রার্থী আছে।

যারা বাদ পড়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির চিঠি পাওয়া আখতারুজ্জামান রঞ্জন। খেলাপি ঋণের কারণে তার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।

রবিবার যাচাইবাছাই শেষে বাতিল ও বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।

রাষ্ট্রপতির ছেলেরা

স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত হয়েছে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে।

তবে এই আসনে শারীরিকভাবে অসুস্থ আশরাফের বিকল্প প্রার্থী আছে আওয়ামী লীগে। তিনি হলেন মশিউর রহমান হুমায়ুন। তার প্রার্থিতাও বৈধ ঘোষিত হয়েছে।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে নৌকা নিয়ে লড়বেন। তাদের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা হয়েছে।

বাদ পড়েছেন যারা সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিন আসনে বিএনপির বিএনপির খালেদ সাইফুল্লাহ হোসেন এবং শরীফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে বিকল্প প্রার্থী রেজাউল করিম খান চুন্নুর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষিত হয়েছে। এই আসনে বাদ পড়েছেন মোট পাঁচ জন। বৈধ ঘোষিত হয়েছেন আট জন।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া) আসনে বাদ পড়াদের মধ্যে আছেন বিএনপির আখতারুজ্জামান। এখানে দলের বিকল্প প্রার্থী শহীদুজ্জামান কাকন।

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ। এই আসনে বাদ পড়েছেন মোট সাত জন। এরা জাতীয় পার্টি, সিপিবি, জেএসডি, ইসলামী আন্দোলন, মুসলিম লীগ এবং একজন স্বতন্ত্র একজন।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বাদ পড়েছে পাঁচ জন। বৈধ ঘোষণা হয়েছে ছয় জনের মনোনয়ন। যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন বিএনপির চিঠি পাওয়া সাইফুল ইসলাম সুমন। এখানে দলের বিকল্প প্রার্থী জালাল মোহাম্মদ গাউছ।

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির মজিবুল হক চুন্নুকে সমর্থন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী মিজানুল হকের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপির চিঠি পাওয়া সুরঞ্জন ঘোষের মনোনয়ন বাতিল হয়েরে চিঠি পাওয়া সুরঞ্জন ঘোষের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তবে বৈধ হয়েছে আরেক নেতা ফজলুর রহমানের মনোনয়ন। এই আসনে বৈধ প্রার্থী চার জন। বাতিল হয়েছে একজনের।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের আফজাল হোসেন, বিএনপির শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল ও মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বলসহ মোট নয় প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে। এখানে বাতিল হয়েছে জাসদের সেলিনা সুলতানার মনোনয়ন।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে আওয়ামী লীগের নাজমুল হাসান পাপন, বিএনপির শরীফুল আলমসহ চার জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত হয়েছে। এখানে বাতিল হয়েছে ইসলামী আন্দোলনের একজন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :