ঐক্যফ্রন্টের আচরণ ও উচ্চারণে ভুল ছিল: মান্না
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গড়া ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে কোনো ভুল ছিল না দাবি করলেও এর শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বললেন, ‘আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তবে এতে আমাদের অবশ্যই কিছু আচরণ এবং উচ্চারণে ভুল ছিল।’
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘৩০ ডিসেম্বর এবং অতঃপর’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে তার ব্যাখ্যাও দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, ‘আমরা শীর্ষ নেতারা কেনো মনে করলাম সামরিক বাহিনী মাঠে নামলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কি বলেন সমগ্র জনগোষ্ঠীকে ভোটের জন্য তৈরি করতে বলা হয়েছে কিন্তু প্রতিরোধ করার জন্য বলা হয়নি।’
সভায় বিএনপির তৃণমূল নেতারা ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায়’ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এর জবাবে মান্না বলেন, ‘আমরা যে ঐক্যফ্রন্ট করেছি এই ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বেগম জিয়ার মুক্তি এক নম্বারে আছে। আজকে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই বেগম জিয়াকে যদি মুক্ত করতে হয় তাহলে লড়াই করেই মুক্ত করতে হবে তার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু সেই লড়াই কি আমরা করতে পেরেছি। সেই লড়াই কি কেবল বেগম জিয়ার মুক্তির লড়াই? সেই লড়াই তো বাংলাদেশের মুক্তির লড়াই, গণতন্ত্রের মুক্তির লড়াই, এখন পর্যন্ত যে সকল নেতাকর্মী জেলে আছেন তাদের মুক্তির লড়াই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘নেতৃত্বের কথা বলেন আর যাই বলেন, আমি তো মনে করি না আমরা কোনো ভুল করেছি। আমরা লড়াইয়ে জিতেছি, রাজনীতিকভাবে জিতেছি।’
তিনি বলেন, ‘যদি শুধু আওয়ামী লীগ আর পুলিশ নির্বাচনে করতে নামতো বিজিবি চুপচাপ থাকতো, সেনাবাহিনীর না থাকতো আন্দোলনের আরেকটা ডেউ তৈরি হতো, আর এই ডেউ সারা দেশে ছড়িয়ে পরতো। এই সরকারের কাছে দাবি করে হবে না, আদায় করে নিতে হবে।’
মান্না বলেন,‘প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের পর অনেকে অনেক কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের পর আমরা কি কোথাও বলেছিলাম যে আমরা আশাবাদী আছি? প্রধানমন্ত্রী অঙ্গিকার রক্ষা করবেন? আমরা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারবো?’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গির আলমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/বিইউ)