হাইকোর্টে আবেদন, এদিকে সিএমএমে মইনুলের জামিন
মানহানির অভিযোগে এক নারী সাংবাদিকের করা মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেছে মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত।
আজ রবিবার এই জামিন মঞ্জুর হয়। একই দিন তার জামিন চেয়ে হাইকোর্ট আবেদন করা হয়েছিল। এর শুনানির আগেই সিএমএম কোর্টে অসুস্থতাজনিত কারণে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে মইনুলের জামিন মঞ্জুর হয়।
সিএমএম তার জামিনের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আইনজীবীরা জানান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সব মামলায় জামিনে রয়েছেন। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মানহানির মামলাতেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন। তবে আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল, সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পুনরায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিতে হবে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন জামিন নিতে গেলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষে তার মামা ও আইনজীবী খন্দকার মাহাববু হোসেন জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু এরই মধ্যে দুপুরে খবর আসে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারিক আদালত।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের অপর আইনজীবী এম মাসুদ জানান, সিএমএম কোর্টে জামিন না পেয়ে তারা হাইকোর্টে বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের দ্বৈত বেঞ্চে আবেদন করেন। এরপর জানতে পারেন নিম্ন আদালতে তার জামিন হয়েছে।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’-এ সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন তিনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত কি না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/মোআ)