ছয় লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় চারজনের কারাদণ্ড
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকায় তিন বছর আগে ছয় লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় চার আসামির ১৫ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও প্রত্যেক আসামির ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড আনাদায়ে প্রত্যেকের ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া যে কাভার্ডভ্যান থেকে ছয় লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছিল সেই ভ্যানটির জিম্মানামা বাতিল করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডিতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার পূর্বগ্রামের মো. সফর আলীর ছেলে মো. মুক্তার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার রায়পুর গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে মিজানুর রহমান বাবু, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার চরকুলিয়া গ্রামের মো. লায়েকুজ্জামানের ছেলে মো. সোহেল আহমেদ এবং ঢাকার ডেমরা থানাধীন শরিফের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. জনি। আসামিরা সবাই কারাগারে রয়েছেন। রায় ঘোষণার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী যতপিস ইয়াবা পাওয়া যাক, তার সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছর কারাদণ্ড। রায়ে যা আদালত প্রদান করেছেন। বর্তমান আইন অনুযায়ী হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারত বলে তিনি জানান।
তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাশেদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এস শাহ সিএনজি ফ্লিলিং এন্ড কনভারশন স্টেশনের সামনে রাস্তার ওপর চট্টগ্রাম থেকে আসা কাভার্ডভ্যান আটক হয়। পরে কাভার্ডভ্যানের ড্রাইভিং সিটের পেছনের টুলবক্সের ভেতর প্লাস্টিকের বস্তায় ২০টি বান্ডেলে ছয় লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজমের পুলিশ পরির্দশক বিপ্লব কিশোর শীল একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর একই বিভাগের এসআই নৃপেন কুমার ভৌমিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/আরজে/এমআর