COVID-19

গোপনে রাসায়নিক মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে!

স্বাস্থ্ ডেস্ক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:২৪| আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:২৪
অ- অ+

ল্যাবরেটরিতে অতি গোপনে রাসায়নিক মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে কোন কোন দেশের বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন। ইউহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিতে অতি গোপনে রাসায়নিক মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।

বর্তমান সময়ে এই ভাইরাসের নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন থেকে এ রোগ COVID-19 নামেই পরিচিত হবে।

এই নামের মধ্যে CO দিয়ে করোনা, VI দিয়ে ভাইরাস, D দিয়ে ডিজিজ (রোগ) বোঝানো হচ্ছে। আর 19 থাকছে ভাইরাস ছড়ানোর সময় হিসেবে ২০১৯ সালকে চিহ্নিত করার জন্য।

নতুন এ করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে কেড়ে নিয়েছে ১১১৫ জনের প্রাণ, সংক্রমিত হয়েছে ৪৫ হাজার মানুষের দেহে। মৃত্যু ও প্রাণহানির অধিকাংশ ঘটনা চীনে ঘটলেও এ ভাইরাসকে পুরো বিশ্বের জন্যই হুমকি হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম এ ভাইরাসের সংক্রমণ চিহ্নিত করা হয়। বলা হয়, ফ্লু বা নিউমোনিয়ার মত উপসর্গের এ রোগের কারণ নতুন ধরনের এক করোনাভাইরাস, যা ২০০২ সালে সার্স এবং ২০১২ সালের মার্সের মত একই পরিবারের সদস্য।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

নভেল করোনাভাইরাস এর কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। আপাতত একমাত্র উপায় হল, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

করোনাভাইরাসের জন্মদাতা ইউহানের বায়োসেফটি ল্যাবরেটরি লেভেল ফোর। আর এই কথা আগে থেকেই জানত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমন বিস্ফোরক দাবি জানিয়েছেন, মার্কিন আইনজীবী, রাসায়নিক মারণাস্ত্র বিরোধী সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. ফ্রান্সিস বয়েল। তাঁর উদ্যোগেই ১৯৮৯ সালে ‘বায়োলজিক্যাল ওয়েপনস অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাক্ট’-এর বিল পাস হয়। নোভেল করোনাভাইরাস যে নিছকই কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ নয়, সে বিষয়ে আগেও মুখ খুলেছিলেন ড: ফ্রান্সিস। ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও মাইক্রোবায়োলজিস্টদের দাবির সমর্থন জানিয়েই ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেন, ইউহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিতে অতি গোপনে রাসায়নিক মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। সব জেনেও কেন চুপ করে রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হজ পালনে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৩৭ হাজার ৮৩০ বাংলাদেশি
সোনার দাম কমলো, ভরি ১৭০৭৬১ টাকা
আজ যে অঞ্চলে ঝড় হতে পারে
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: অস্ত্রবিরতি শুরু হতে না হতেই লংঘনের অভিযোগ দুদেশের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা