‘সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৩৭

রাষ্ট্রের সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বলেছেন, সমাজের সব স্তরের মানুষের পাশাপাশি নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করার দায়িত্ব প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।

রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটরিয়ামে আয়োজিত ফারজানা মাহমুদের ‘সেক্যুলারিজম, জেন্ডার ইকুয়ালিটি পলিটিক্স অ্যান্ড দ্যা স্টেট’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

গওহর রিজভী বলেন, ‘সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য 'প্লেয়িং ফিল্ড' তৈরি করতে না পারলে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়ে উঠে না।’

তিনি বলেন, ‘মেধাভিত্তিক সমাজ গড়তে হলে নারীর প্রতি বিদ্বেষ-বৈষম্য দূর করতে হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অতীত গৌরবের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কোটা আন্দোলন হয়েছে। আমি ওই আন্দোলনের বিরুদ্ধে নই। তবে আমি কোটা পুনঃবিন্যাস নয়, পুনর্গঠনের পক্ষে।’

এই ব্যাখ্যায় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেউ গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করি, কেউ শহরে। এক্ষেত্রে শহুরের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সুবিধা বঞ্চিতরা এক ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়। এটি দূর করতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাই যাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমান যোগ্যতা নিয়ে সুযোগ নিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের পরে দক্ষতা-যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে পদোন্নতির বিষয়টি দেখতে হবে।’

গওহর রিজভী বলেন, ‘মেরিড বেইজ সোসাইটি গঠন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র ফেল করছে। যার ফলে গত ৫০ বছরে একটা বড় গ্যাপ দেখা দিয়েছে।’ সরকারকে উদ্দেশ্য করে গওহর রিজভী বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে ব্যালেন্স করে আনতে হবে। লিঙ্গ ও সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে।’

এ ধরনের একটি বই প্রকাশে উদ্যোগ নেওয়ায় লেখকের প্রশংসা করেন গওহর রিজভী। বলেন, এই ইস্যুতে বই লিখে লেখক সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল আলম বলেন, ‘ধর্মের কথা বলে ধর্মনিরপেক্ষতায় বারবার আঘাত এসেছে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা তো ধর্মহীনতা নয়! বিষয়টি যুক্তি-তর্ক দিয়ে ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়েছে ফারজানার এই বইয়ে। এছাড়া গণতন্ত্রের বিকাশ, আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানে পরিবর্তন আনার কথাও বলেছেন লেখক।’

ঢাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদিকা হালিম বলেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকে এগিয়ে যেতে অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। এই সমাজে নারী অগ্রগতি থামাতে সহজ একটি কৌশল অবলম্বন করা হয়, তা হলো ওই নারীর চরিত্র হনন করা। এই বৈষম্যমূলক অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে লেখক ফারজানা মাহমুদ বলেন, নারীর প্রতি সামাজিক বৈষম্যের প্রতিবাদ করতে গিয়েই তিনি এ বিষয়ে লেখালেখির অনুপ্রেরণা পান। এর সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতা, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের বিষয়টিও যুক্ত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/টিএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :