ত্রাণ চাওয়ায় হামলা, নারীসহ সাতজন আহত

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ত্রাণ চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মন্টু এদবরের লোকদের হামলায় দুজন নারীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ছৈলাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় স্থানীয় ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫), কদম আলী শিকদার (৫৫), সাব্বির হাওলাদার (২২), সিরাজ বেপারীর স্ত্রী ফুল মালা বেগম (৬০), রাজু শিকদার (৫০), রফিক বেপারী (৫০) ও আবদুল আজিজ বেপারী (৬০) আহত হয়।

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত সুফিয়া বেগম বলেন, ‘ওই রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সরকারি আর্থিক অনুদান বিষয়ে জানতে চাইলে এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায় তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে।’

এলাকাবাসী জানান, ওই ইউপি সদস্য স্থানীয়দের কাছ থেকে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে টাকা নিয়েছেন। সরকারি অনুদানের তালিকা নিয়ে তিনি ব্যাপক স্বজনপ্রীতি করেছেন।

আহত কদম আলী শিকদার জানান, ইউপি সদস্য মন্টু এদবর তার ৫০/৬০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঢুকে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের সাতজন আহত হয়েছেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মন্টু এদবর সাংবাদিকদের বলেন, ওই এলাকার জাহাঙ্গির হোসেন শিকদারের নাম সরকারি অর্থিক অনুদানের তালিকায় না থাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় রফিকের চায়ের দোকানের সামনে বসে আমার উপর হামলা করে। এ নিয়ে রাতে শালিশ বৈঠক হয়। এ সময় সেখানে থাকা আমার লোকজনের উপর স্থানীয়রা হামলা করে। ওই সময় অন্ধকারের মধ্যে কে বা কারা কার উপর হামলা করেছে তা আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, ওই আর্থিক অনুদানের তালিকা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের লোকজন করেছেন। আমি তালিকার ব্যাপারে কিছু জানি না।

ইউপি চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী বলেন, শুক্রবার রাতে সরকারি আর্থিক সাহায্য নিয়ে ইউপি সদস্য মন্টু এদবরকে মারধর করেছে। এ নিয়ে ওই রাতে শালিশ বৈঠকে বসলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে দুয়েকদিনের মধ্যে শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিট করে দিবো।

(ঢাকাটাইমস/১৭মে/কেএম)