সৌরজগতে রয়েছে আরও ৩৬ সভ্যতা!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ জুন ২০২০, ১১:১৩ | প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২০, ১০:৫৯

পৃথিবী ছাড়াও কী অন্য গ্রহে প্রাণীরা বাস করে? এই প্রশ্ন মানুষকে বারবারই উত্তেজিত করে তুলেছে। কল্পনার জগতে মানুষ বহুবার দেখা করেছে এরকম ভিনগ্রহী জীবদের সঙ্গে। তবে বাস্তবে এদের অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ আজও মেলেনি। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হয়রান হয়েছে বিজ্ঞানীরা। প্রশ্নের উত্তর মিলেছে এবার হয়ত সেই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে। আমাদের ছায়াপথ আকাশগঙ্গাতেই রয়েছে আমাদের মতো অনেকগুলো সভ্যতার অস্তিত্ব, যাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ছায়াপথে ভিনগ্রহবাসী প্রাণীর তৈরি এমন অন্তত ৩৬টি সভ্যতা রয়েছে।

কী বলছে গবেষণা? ফোর্বস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের সৌরজগতটি যেই মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথে, সেখানে ১০ হাজার কোটি থেকে ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র থাকতে পারে এবং নক্ষত্র প্রতি একটি করে এক্সোপ্ল্যানেট বা পৃথিবীসদৃশ গ্রহ থাকতে পারে।

পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা নিবন্ধ দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল-এ প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না, থাকলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা সম্ভব কি না, দীর্ঘদিনের এসব প্রশ্নের একটা দিশা মিলল এই গবেষণায়।

বিজ্ঞানীদের অনুমান, অন্যান্য গ্রহে যেমন বুদ্ধিমান জীবনের উদ্ভব হয়েছিল, ঠিক তেমনই আমাদের গ্রহেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল। পৃথিবীতে যেমন বুদ্ধিমান জীবন গঠনে প্রায় পাঁচ শ কোটি বছর সময় লেগেছিল, অন্যান্য গ্রহেও তেমনই সময় লেগেছিল। এছাড়া হিসাব করে দেখা গেছে, আমাদের পৃথিবীর মতোই একটি প্রযুক্তিগত সভ্যতা কমপক্ষে ১০০ বছর স্থায়ী হয়। নির্দিষ্ট ছায়াপথে যোগাযোগে সক্ষম গবেষকেরা নির্দিষ্ট ছায়াপথে যোগাযোগে সক্ষম বুদ্ধিমান প্রাণীর সভ্যতার সন্ধান পাওয়ার জন্য যে গণনাপদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, তা ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজিক্যাল কোপারনিকান লিমিট' নামে পরিচিত।

নিবন্ধের লেখক ও নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের সহকারী অধ্যাপক টম ওয়েস্টবি বলেছেন, ‘বুদ্ধিমান সভ্যতার সংখ্যা নির্ধারণের সর্বোত্তম পদ্ধতিটি জীবন-সম্পর্কিত মূল্যবোধের অনুমানের ওপর নির্ভর করে। তবে এই জাতীয় মতামত নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে।'

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা