প্যাকেজ না মানলে ব্যাংক থেকে সরকারি আমানত তুলে নিন: এফবিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ জুন ২০২০, ১৬:৪৪ | প্রকাশিত : ২৭ জুন ২০২০, ১৬:১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্যাকেজ যেসব ব্যাংক বাস্তবায়ন করবে না সেসব ব্যাংক থেকে সরকারি আমানত তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষসংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

শনিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘প্যাকেজ বাস্তবায়নে অনেক ব্যাংক এগিয়ে আসলেও কিছু ব্যাংকের মধ্যে অনীহা দেখা যাচ্ছে। যেসব ব্যাংক প্যাকেজ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে না; ওই সব ব্যাংক থেকে সরকারি আমানত তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করছি। পাশাপাশি যারা সহযোগিতা করছে তাদের ট্যাক্সের সুবিধা দেওয়া যায় কি-না তা বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আজকে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব করছি। শিগগিরই অর্থমন্ত্রীকে এ বিষয়ে চিঠি দেব। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি সকল সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র খাদ্য সহায়তা সাড়ে চার কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন করোনার শুরুর থেকেই। এফবিসিসিআই সদস্য জেলা চেম্বার্স, অ্যাসোসিয়েশনস, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিগণ, ব্যবসায়ীরাসহ, সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ এই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসংখ্য মানবিক দৃষ্টান্তের থেকে এফবিসিসিআইয়ের আস্থা যে সম্মিলিতভাবে আমরা ঘুরে দাঁড়াব, ইনশাল্লাহ। এফবিসিসিআই ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থকর্মী, সাংবাদিক, ফিল্ড রির্পোটার, ক্যামেরা পারসন, বাংলাদেশ আর্মড ফোর্স, পুলিশ, র্যা ব, ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারস, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স, ই-কমার্স, কল সেন্টার, টেলিকম অপারেটরস, সরকারের প্রতিটি সেক্টরের কর্মকর্তা ও নির্বাহীদের করোনাকালে ১৬ কোটি মানুষের পাশে থাকার জন্য সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানায়।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থবিল ২০২০-২০২১ মহামান্য সংসদে উত্থাপন করেন। ২০১০ সাল থেকে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দর্শন, ২০২১ মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ উন্নত রাষ্ট্র, ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর ধারাবাহিকতায় এই বাজেটে করোনার বাস্তবতা যোগ হয়েছে। এটি একটি মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোভিট-১৯ ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ ছিল প্রণোদনা অনুদান এবং ভর্তুকী সুদের ঋণ সুবিধা। কিছু ঋণ এবং অনুদান বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য ১৯ প্যাকেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যান্য দেশের সুবিধা, ট্যাক্স নেটের অন্তর্ভূক্ত জনগণের জন্য প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও দুর্বল হওয়ার শর্তে প্রনোদনাগুলো ১৬ কোটি বাংলাদেশিদের জন্য। সাড়ে চার কোটি মানুষের বিনামূল্যে খাদ্য সহযোগিতা, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরতদের জন্য ৭০০ কোটি, বিদেশ ফেরত বাংলাদেশিদের জন্য ২০০ কোটি, ৫০ লাখ পরিবার ২৫০০ টাকা নগদ সহায়তা, ভর্তুকী সুদে ৫,০০০ কোটি কৃষিতে, ৩,০০০ কোটি কৃষি যন্ত্রাংশে ভর্তুকী, অনুদান, কুটির, ক্ষুদ্র লাইফস্টক এবং পোল্ট্রিজ, ৫,০০০ কোটি রপ্তানি শিল্পের শ্রমিদের বেতন, ২০,০০০ কোটি সিএমএসএমই নারী উদ্যোক্তাসহ, ৩০,০০০ কোটি বড় উদ্যোগদের জন্য এবং রপ্তানি শিল্পে কর্মীদের বেতনের জন্য। ঋণগ্রহীতা গ্রাহক ও সরকারের ভর্তুকী সমন্বয়ে সব ঋণে ব্যাংক পাবে ৯ শতাংশ সুদ।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/জেআর/এইচএফ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা

ব্যাংক এশিয়া কিনে নিচ্ছে পাকিস্তানি আলফালাহ ব্যাংক

এনসিসি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি

এক্সিম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন মইদুল ইসলাম

ডিএমডি হলেন অগ্রণী ব্যাংকের শামিম উদ্দিন আহমেদ

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস আইএমএফের

নাটক রূপান্তর: দুঃখ প্রকাশের পর এবার বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ ওয়ালটনের

বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের আইনি নোটিশ, চুক্তি বাতিল

কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫১তম সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :