করোনায় অবসাদে শিশুরা, উপেক্ষা করলেই বিপদ

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২০, ১০:২৮ | প্রকাশিত : ০৪ জুলাই ২০২০, ১০:১৭

করোনা মহামারি মানুষের স্বাভাবিক জীবন বদলে দিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরনো, মাস্ক পরা, সব সময় করোনা সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কে থাকা, সামাজিক দূরত্ব পালন করার শিক্ষা আমাদের জীবনকে বদলে দিয়েছে অনেকটা। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, বাইরে ঘোরা ফেরা দীর্ঘদিন বন্ধ আমাদের জীবনে। এর প্রভাব কিন্তু সবচেয়ে বেশি পড়ছে ছোটদের মনে।

স্কুল বন্ধ দীর্ঘদিন। বাড়ির চার দেওয়ালে বন্দি থেকে হাঁপিয়ে উঠছে ছোট্ট প্রাণগুলো। লকডাউন ও করোনা সতর্কতার কারণে শৈশব অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বড়রা যেখানে আর্থিক সংকট আর চাকরি বজায় রাখা নিয়েই চিন্তায়, সেখানে ছোটদের দিকে মন দেওয়ার সময় কোথায়? কিন্তু এখনই সাবধান না হলে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে।

ছোটরাও অবসাদে ভোগে বৈকি। অনিশ্চয়তার আতঙ্ক কুরে কুরে খায় ছোট ছোট মনগুলোকে। আর সবথেকে মুশকিল হল ছোটদের অবসাদ নিয়ে আমরা বড়রা মোটেও খুব একটা চিন্তিত নই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বের ১০ থেকে ২০ শতাংশ শিশু অবসাদের শিকার। এই কারণেই ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার সন্তান অবসাদের শিকার কিনা, তা বুঝতে সাহায্য করবে এই লক্ষণগুলো-

* খেলাধুলোয় আগ্রহ হারিয়ে ফেলা

* উল্লেখযোগ্য ভাবে ওজন কমে যাওয়া

* মনঃসংযোগে সমস্যা

* ক্ষিদে কমে যাওয়া

* সব সময় বিরক্তি, সব সময় মন খারাপ

* অতিরিক্ত ঘুমে বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া

* মেলামেশায় অনীহা

* সব সময় অধৈর্য্য হয়ে পড়া

* সবসময় ক্লান্তি, একটা ঝিমিয়ে থাকা অবসন্ন ভাব

* মাঝে মাঝে রেগে যাওয়া, উত্তেজিত হয়ে পড়া, জিনিসপত্র ভাঙচুর করা

* সব সময় হতাশামূলক কথাবার্তা বলা

* মৃত্যু অথবা আত্মহত্যা নিয়ে কথাবার্তা বলা

এই সব লক্ষণ আপনার সন্তানের মধ্যে দেখা দিলে এখনই সাবধান হোন। সন্তানের প্রতি আরও নজর দিন। তার সঙ্গে কথাবার্তা বলুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের স্মরাণাপন্ন হোন।

ঢাকা টাইমস/০৪জুলাই/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :