তবুও সাহেদের দম্ভোক্তি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০২০, ২১:২৯| আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২০, ২১:৪৭
অ- অ+
সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয় সাহেদকে।

বুধবার ভোর। ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন করোনার ভুয়া রিপোর্ট কাণ্ডের মূলহোতা সাহেদ করিম। প্রায় নয় দিন পর সাতক্ষীরা থেকে তাকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে সাহেদকে ঢাকায় আনতে র‌্যাবের হেলিকপ্টার উড়ে যায় সেখানে। সকাল নয়টায় সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টার পুরাতন তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে সাহেদের নিউজ কাভারেজের জন্য ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। এরপরই সংবাদকর্মীরা সেখানে ছুটে যান।

হেলিকপ্টার থেকে সাহেদকে নামানোর স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করতে থাকেন উপস্থিত সংবাদকর্মীরা। এসময় সাহেদ র‌্যাব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, 'আমি একটি পত্রিকার সম্পাদক, আমাকে বেইজ্জতি করবেন না। আমি টিভি টক শো করি। সাংবাদিকদের অনেক ছবি-ভিডিও দিছেন। এবার এখান থেকে আমাকে দ্রুত নিয়ে চলেন।'

সেখানে থাকা র‌্যাবের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে তারা ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সাহেদ র‌্যাব কর্মকর্তাদের বলেন, 'দেখছেন আমি একটি পত্রিকার সম্পাদক, আর আমার ছবি তোলার জন্য আমার পত্রিকার সাংবাদিক এসেছে। সে আমার গ্রেপ্তারের ছবি তুলছে।’

রিজেন্ট চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদের মালিকানাধীন একটি জাতীয় দৈনিক আছে। তিনি সেই পত্রিকার একজন সম্পাদক।

করোনা শনাক্তের জন্য সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতাল টাকার বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ করত। এরপর টেস্ট না করেই ফলা দিচ্ছিল। গত ৬ জুলাই র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে বিভিন্ন অনিময় পাই র‌্যাব। এরপরের দিন বিভিন্ন অনিময়ের অভিযোগে হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুরের দুটি শাখা সিলগালা করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে সাহেদ করিম আত্মগোপনে যান।

প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, এরপর কুমিল্লায় অবস্থান করেন। সেখান থেকে ঢাকায় এসে মানিকগঞ্জ হয়ে সাতক্ষীরা যান। সাতক্ষীরার একটি নদী পার হয়ে নৌকা যোগে তিনি ভারতে যাবার চেষ্টা করছিলেন। আজ ভোরে র‌্যাবের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

সাহেদের দম্ভোক্তি

গ্রেপ্তারের পর সাহেদে প্রথম র‌্যাব কর্মকর্তাদের কাছে নিজেকে একটি পত্রিকার সম্পাদক পরিচয় দেন। তাতে কাজ না হলে নিজেকে একটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান পরিচয় দেন। উপস্থিত অভিযানিক দলের কর্মকর্তাদের বলেন, 'আমি হত্যা বা ধর্ষণ করিনি। আমাকে বেশি দিন আটকে রাখা যাবে না। ছয় মাস পর ছাড়া পেয়ে ঠিকই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে যাবো।'

সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর তাকে সকালে ঢাকায় এনে কিছু সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় তার অফিসে অভিযানে যায় র‌্যাব। সেখান থেকে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা সমপরিমাণ জালনোট উদ্ধার করে সংস্থাটি। পরে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তাকে ডিবি হেফাজতে দেওয়া হয়। কারণ, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নিজেকে অসুস্থ দাবি করলেও চিকিৎসকরা জানান তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ আছেন। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এসএস/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এবার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সরানো হলো কিশোরগঞ্জের এসপিকে, তদন্ত কমিটি গঠন
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের স্ত্রীর প্লট-ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়লো আরও ২ মাস
আ.লীগ থেকে বিএনপিতে আসার বক্তব্য নিয়ে রিজভীর প্রতিবাদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা