নড়বড়ে কাঠের সেতুতে হাজারো মানুষের চলাচল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৫০ | প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর ২০২১, ১৭:১৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উত্তর ও দক্ষিণ পৈরতলার ১০ হাজারের বেশি মানুষের চলাচল নড়বড়ে এক কাঠের সেতু দিয়ে। দক্ষিণ পৈরতলা গোরস্থান সংলগ্ন স্থানে টাউন খালে গাছের খুঁটির ওপর কাঠ দিয়ে বানানো সরু ওই সেতু দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি পাকা সেতু তৈরির দাবি এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, হযরত শেখ জালাল (রহ:) এর মাজার গেইট থেকে গোরস্থানের পাশ দিয়ে এই সেতুটি শহর বাইপাস সড়কে যুক্ত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তাদের বের হওয়ার মূল পথের মুখে পৈরতলা বাসস্ট্যান্ডে নিয়মিত যানজট লেগে থাকে। ফলে সামান্য পথ পেরুতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তাছাড়া চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ। সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে খালের ওপর সেতুটিও। খালের পূর্ব পাশে নির্মিত আল নূর পেয়ারা জামে মসজিদের মুসল্লিদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী তিন বছর আগে কাঠের ওই সেতু নির্মাণ করে। কালের পরিক্রমায় এই সেতুর ওপর দিয়ে এখন চলাচল করছে গোটা এলাকার মানুষ। বাজার, স্কুল, অফিসগামী মানুষসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ মূল পথে চলাচলের বিড়ম্বনা এড়াতে এই পথে চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। তবে আনুমানিক একশ ফুট প্রশ্বস্ত নড়বড়ে কাঠের সেতুটি দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।

উত্তর পৈরতলার আবু তাহের মিয়া বলেন, গোকর্ণ রোড দিয়ে চলাচলে প্রতিনিয়ত যানজট, দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় এলাকার মানুষকে। তাছাড়া রোডের অবস্থাও খারাপ। গ্রামের ভেতরের এই সড়কটি দিয়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না মানুষ।

পৈরতলা ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ মিয়া বলেন, খালের ওপর সেতুটি পাকা করা হলে আমাদের অনেক উপকার হবে।

এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ এমরানুর রেজা বলেন, পৌরসভার এই রাস্তাটি দিয়ে পায়ে হেটে সহজেই মানুষ চলাচল করতে পারে। রাস্তাটি পাকা এবং খালের ওপর স্থায়ী সেতু হলে আর দুর্ভোগ থাকবে না। সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এখানে স্থায়ী সেতু নির্মানের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :