‘ভ্যাট বুঝি না, দাম কমলে আমরাও খুশি’

বীর সাহাবী, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ২০:০৪ | প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০২২, ২০:০১

বাজারে দাম সহনীয় করতে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলায় ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এ বিষয়ে এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করলে দাম কমবে এই তিন পণ্যের।

অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, রামপুরা বাজারসহ রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা টাইমস। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কেউ বলছেন, তারা ভ্যাট বোঝেন না। একশতে কিনে একশ দশে বেচে দশ টাকা লাভ করতে চান। আবার কেউ বলছেন, দাম কমলে তাদের বিক্রি বাড়বে। ফলে আয়ও বাড়বে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ভোজ্যতেল ও চিনি থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর হয় না।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সয়াবিন তেলে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ মিলিয়ে ২০ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। ভ্যাট প্রত্যাহারের ফলে সয়াবিন তেলের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমতে পারে।

রামপুরা বাজারের মুদি দোকানি মাহবুব মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ভ্যাট-ফ্যাট কিছু বুঝি না। আমরা যে দামে কিনা আনি এর থেকে ৫-১০ টাকা লাভ হইলেই বিক্রি কইরা দিই। এইটাই বুঝি যে, সব পণ্যে পাঁচ-দশ টাকা লাভ করলে পেট চলবো আর নাইলে না। যেইডা ১০০ দিয়া কিনি সেইডা ১১০ বেচি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন জিনিসের দাম বাড়ছে এইডা সত্যি। আমাদের বেশি দাম দিয়া কিনা লাগে তাই বেশি দামে বেচা লাগে। দাম-টামের ব্যাপারে আমাদের হাতে কিছু নাই। সব ওপর মহলের কাছে। আমরা কিনি আর বেচি। কমে কিনলে কম আর বেশি কিনলে বেশি বেচি।’

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী করিম উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমরাও চাই সবকিছুর দাম কমুক। কিন্তু আমাদের হাতে কিছু নাই। সব নির্ধারণ করে বড় বড় ব্যবসায়ীরা। আমরা ছোট দোকানদার, যা পাই তাই বেচি।’

পোশাককর্মী আরিফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বাজার করতে আসেন রামপুরা বাজারে। তাকে দেখা গেল চিনি ও তেলসহ বেশকিছু নিত্যপণ্য কিনতে, তবে স্বল্প পরিমাণে।

আরিফুল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বাজারে আসতে লজ্জা লাগে। অবস্থা এমন যে না কারো কাছে চাইতে পারি, না কারো কাছে হাত পাততে পারি। ঢাকা শহর ছাইড়া পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।’

বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোলা কেজিপ্রতি ৭৫-৮০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা কেজি, মশুর ডাল চিকনটা ১২৫ টাকা, মোটা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে সবজির বাজারে দেশি টমেটো ৪০ টাকা কেজি, করলা কেজিপ্রতি ১২০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা এবং আলু (পুরনো) ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :