কর্মবিরতির পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে রেল যোগাযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৫৪ | প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৫১

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির একদিন পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে রেল যোগাযোগ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেশিরভাগ ট্রেন সময় মতো ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার।

চিলাহাটি গামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের ধর্মঘটের জন্যই শিডিউল বিপর্যয়ে পরে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার। বৃহস্পতিবার তিনি এসব তথ্য জানান।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে শুধু সবগুলো ট্রেন শিডিউল অনুসারে ছেড়ে গেছে। তবে ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় সাত ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।’

ধর্মঘটের পরে পরিস্থিতি কতটুকু সামলে উঠতে পেরেছেন জানতে চাইলে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) কর্মবিরতি ছিল। এর জন্য যেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়, তা বুধবার রাত পর্যন্ত হয়েছে। আজ শুধু নীলসাগর এক্সপ্রেস শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। আশা করছি এখন আর কোনো ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ে পড়বে না।’

গত মঙ্গলবার বিকালে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পরের দিন বুধবার ভোর ৬টা থেকেই হঠা‍ৎ রেলের রানিং স্টাফরা পেনশন ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। পরে ওই দিন দুপুরে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন তাদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক জানান, রেলের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি নিদিষ্ট সময় ডিউটি করলেও চালকদের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। আমরা একজন চালক দিনে গড়ে ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা ট্রেন চালাই। এ জন্য বাড়তি মজুরি ও পেনশন ৭৫ শতাংশ টাকা দেয়া হত।

ট্রেনের এই চালক বলেন, বেতনের বাইরেও চালকরা যত মাইল দায়িত্ব পালন করেন ও অতিরিক্ত সময় কাজ করতেন, তার জন্য নির্দিষ্ট হারে ভাতা পেতাম। ওটা রেলে ‘মাইলেজ ভাতা’ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু হঠাৎ করে সেই সুযোগ বন্ধ করার ঘোষণা এলে কর্মবিরতি পালন করে চালকসহ রানিং স্টাফরা।

সম্প্রতি রেলের অতিরিক্ত এই সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতেই ক্ষুব্ধ হন ট্রেনের চালকসহ রানিং স্টাফরা। তবে বুধবার সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হবে বলে আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী। এছাড়া একই সঙ্গে ধর্মঘটের জন্য কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন সঠিক সময় থেকে প্রায় সাত ঘণ্টা দেরিতে, যা বেলা পৌনে ১টায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়। তবে অন্য কোনো ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়নি। এছাড়া ছুটির দিন থাকায় স্টেশনে সাধারণ যাত্রীদের চাপ ছিল অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম।

(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এএইচ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :