জীবিত অবস্থায় বেহেশত পাওয়া যায় না: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের মানুষ অন্য দেশের তুলনায় বেহেশতে আছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এক উক্তি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এবার এ নিয়ে কথা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, দেশ বেহেশতে আছে কে বলেছেন আমি জানি না। তবে জীবিত অবস্থায় তো বেহেশত পাওয়া যায় না। বেহেশত-দোজখ মানুষ মারা গেলে বুঝতে পারেন।
রবিবার সকালে তিন দিনের সফরে রংপুরে এসে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে মানুষের কষ্ট হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। মানুষের কষ্ট কীভাবে লাঘব করা যায়, সেটি নিয়ে এখন সরকার কাজ করছে।’
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাচ্ছে—কথাটি সঠিক নয় মন্তব্য করে টিপু মুনশি বলেন, ‘রাজনীতির খাতিরে হয়তো কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এটি বলছে। আশপাশের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো আছে। বৈশ্বিক এ সংকটকে পুঁজি করে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে সরকার তাদের বাধা দেবে না।
দেশে আমদানি নির্ভর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেশের বাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমলেও দেশে ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশে আমদানি নির্ভর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।’
‘বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দাম নির্ধারণে ট্যারিফ কমিশন কাজ করছে। এছাড়া বৈশ্বিক বাজারে দাম কমার ফলে দেশের বাজারেও পণ্যের দামের কিছুটা প্রভাব পড়া শুরু করেছে’—যোগ করেন টিপু মুনশি।
দেশ থেকে যদি ডলার পাচার হয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ডলার সংকটের কারণে সারা পৃথিবী জুড়ে ডলারের দাম বেড়েছে তা আমরা বলতে পারি না।’
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তানেও ডলারের দাম বেড়েছে। আমরা সবাই বৈশ্বিক পরিস্থিতির শিকার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ হওয়াই এখন আমাদের কাম্য।’
(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/কেআর/এফএ/ডিএম)