মৃগী রোগ কেন হয়? জানুন এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কেও

মৃগী একটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ, যাতে খিঁচুনি হয়। এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও মস্তিষ্কে আঘাত, স্ট্রোক, মস্তিষ্কে টিউমার বা সংক্রমণ, জন্মগত ত্রুটি প্রভৃতিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। জিনগত মিউটেশন কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ রোগের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হঠাৎ হঠাৎ খিঁচুনি শুরু হয়। শিশুদের থেকে শুরু করে বয়স্কদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা চলতে চলতে অজ্ঞান হয়ে যায় বা খিঁচুনি আসে।
মৃগী রোগে হঠাৎ করে মস্তিষ্কে অর্থাৎ মাথায় তরঙ্গের সৃষ্টি হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায়। তাদের আচরণে দেখা যায় অস্বাভাবিকতা। এই অস্বাভাবিকতাগুলো হঠাৎ করেই হয় এবং মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকে বন্ধ করে দেয়।
আগামী ২৬ মার্চ আন্তর্জাতিক মৃগী রোগ সচেতনতা দিবস। তাই এ নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। কীভাবে সচেতন হওয়া যায় বা কী কী জিনিস এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা আগাম জেনে নেওয়া ভালো।
কীভাবে বুঝবেন মৃগী রোগের লক্ষণ
যখন দেখবেন আক্রান্ত ব্যক্তির সারা শরীর শক্ত হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। তবে তা বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী হয় না। অজ্ঞান হওয়ার পাশাপাশি আসবে অস্বাভাবিক খিঁচুনি। দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়া। খিঁচুনির পর মাথাব্যথা, দুর্বল হয়ে শুয়ে থাকা ইত্যাদি।
এই রোগ কেন হয়?
মস্তিষ্কের বেশ কিছু কোষ এর জন্য দায়ী হতে পারে। মস্তিষ্কের মধ্যে অস্বাভাবিক ঝটকা এর কারণ। এই বৈদ্যুতিক ঝটকা যখন মস্তিষ্কের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখনই অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনির মতো গুরুতর লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
মৃগী রোগের চিকিৎসা কী?
ড্রাগ থেরাপি এই রোগের জন্য ভালো। এই থেরাপি মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যকলাপ কমিয়ে দেয়। তবে রোগী যেন নিয়মিত ওষুধ খায় সেই দিকে নজর দিতে হবে। ড্রাগ থেরাপি কার্যকর না হলে, যদি পরীক্ষায় ব্রেন টিউমারের মতো লক্ষণ ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে অপারেশন করা যেতে পারে।
আরেকটি পদ্ধতি হলো- বৈদ্যুতিক পেসমেকার, যা খিঁচুনিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে এটি যদি খুবই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া উচিত। পুরোনো ধ্যান-ধারণায় নিজেরা প্রাথমিক চিকিৎসা না দেওয়াই ভালো রোগীর জন্য।
(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/এজে)

মন্তব্য করুন