প্রদীপের ফাঁসির রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্টি মিলবে: সিনহার বোন
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেছেন, আমার ভাই হত্যা মামলার রায়ের আদেশে নয় বরং রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্টি মিলবে। দুই প্রধান আসামির ফাঁসির রায়ের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, কিন্তু সাতজনের খালাস নিয়ে আছে অসন্তোষ। যেদিন রায় কার্যকর হবে সেদিন সন্তুষ্টি মিলবে।
সোমবার বেলা ৪টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্ররির শহীদ সুভাষ হলে মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ৩ বছর পূর্তিতে মামলার বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তিন বছর অপেক্ষা করেছি আর কত অপেক্ষা করবো। এখনো রায় কার্যকর হয়নি। এই রায় আটকে আছে। এই ঘটনা কোন সাধারণ ঘটনা হতে পারে না। আমরা রায় কার্যকর চাই।
আমার ভাই অন্তত সৎ অফিসার ছিলেন। তার সামনে কোটি টাকা রাখলেও তার টাকা না হলে ধরবে না। আমার ভাইকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করলে আমরা সহজে মেনে নিতে পারতাম। কিন্তু আইনের পোশাক পরে হত্যা করা মানে সন্ত্রাসীর চেয়ে কম না। আমার ভাই ছিল ট্রেনিংপ্রাপ্ত দক্ষ অফিসার। তাকে এই সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা এখনো তার মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। সে এখনো আমাদের সামনে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মধ্যে মনে হয় সে এখনো মরে নাই। আমার ভাই একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ছিল। দেশের জন্য প্রাণ দিতে সে সবসময় প্রস্তুত ছিল। সিনহার স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।
বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমার পরিবার আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিকদের কারণে আমরা আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম, নারী নেত্রী নাজরিন সরওয়ার কাবেরি, ওসি প্রদীপের নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা, এডভোকেট মাহবুবুল আলম টিপু, মিজানুর রহমান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/এআর)