ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে লাখো মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেছেন। দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করেন দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী।
বেলা শুরু হওয়ার পর থেকে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে। দুপুর ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটে আসেন জুমার নামাজ আদায় করার জন্য। মাঠে স্থান না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়ক ও বাড়ির ছাদে, শিল্প প্রতিষ্ঠানের ছাদে অলি-গলিসহ যে যেখানে পেরেছেন হোগলা পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন।
ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। কালীগঞ্জ থেকে আসা মুসল্লি আবুল হোসেন জানান, বড় জামাতে নামাজ আদায় করা অনেক ফজিলত।
পুবাইল এলাকার বাসিন্দা হাদিউল ইসলাম তিনি এসেছেন জুমার নামাজে অংশ নিতে। তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো ভেদাভেদ নাই, প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব নাই। ইজতেমায় বড় জুমার জামাত হয় এজন্য এসেছি।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম জানান, ইজতেমা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য বরাবরের মতো এবারও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করেছি। সমস্ত মাঠ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাশা করছি, প্রথমপর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
ইজতেমা মাঠে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জিএমপি কমিশনার বলেন, দ্বিতীয় পর্বে ছয় হাজারের অধিক বিদেশি অতিথি আছে। তাদের জন্যও নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করেছি। জুমার নামাজ আদায় করতে আশপাশের জেলার অনেক মুসল্লিরা এখানে এসেছেন। জুমার নামাজ উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যানজটমুক্তভাবে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয়েছে। জুমার নামাজে অংশ নেওয়া মানুষ যাতে নিবিঘ্নে আসা যাওয়া করতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী রবিবার মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। অংশ নেওয়া মুসল্লি ছাড়াও অসংখ্য মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এখানে আসেন। সেটির জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত হতে টঙ্গী ব্রিজ, কামারপাড়া ব্রিজ, ভোগড়া বাইপাস, মীরেরবাজার এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ইজতেমা সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
ইজতেমা শেষে যাওয়ার সময় একই ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে। আমরা নাগরিকদের কাছে আশা করব তারা যেন সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। রাস্তায় যে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে তাদের সহযোগিতা করবে।
(ঢাকাটাইমস/৯ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

মন্তব্য করুন