উলিপুরে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও নদের বুকে জেগে ওঠা জলাধারগুলোতে (কোলা) অবাধে বিভিন্ন জাতের পাখি শিকার করা হচ্ছে। সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা বিষটোপ ও বড়শিসহ নানান ফাঁদ পেতে নির্বিচারে খাদ্য আহরণে আসা এসব পাখিদের শিকার করছে। এতে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত উপজেলার সাহেবের আলগা ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর-পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্য। আসামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই চকোয়া, বালিহাঁস, গাঙ কবুতর, সারস, পানকৌরিসহ নানান জাতের পাখি ব্রহ্মপুত্র নদ ও বিভিন্ন জলাধারে খাবার সংগ্রহের জন্য আসে। এ সুযোগ অসাধু শিকারিরা বন্দুক, বিষটোপ, বড়শি, জালসহ বিভিন্ন ফাঁদ পেতে নির্বিচারে এসব পাখি শিকার করছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ ও জলাধারগুলোতে পাখি শিকারের দৃশ্য নজরে আসে। তবে এসব শিকারিরা দীর্ঘদিন ধরে পাখি শিকার করছে বলে জানান সেখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, সাহেবের আলগা এলাকার নুর আলম ও আব্দুর রহিম এরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। দীর্ঘদিন ধরে তারা বিষটোপ দিয়ে অবাধে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে পাখি শিকার করে আসছে। একেকটা পাখি ৫০০ থেকে ২০০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে সৌখিন শিকারিরাও আসে পাখি শিকার করতে।
সাহেবের আলগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতিদিন সকালে ব্রহ্মপুত্র নদ এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে। আর নানা ফাঁদ পেতে এসব পাখি শিকার করে শিকারিরা। এই শিকার বন্ধ করা না হলে আগামীতে পাখির উপস্থিতি থাকবে না। শুনেছি দূর-দূরান্ত থেকে এসে শিকারিরা পাখি শিকার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান জানান, পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/এমআর)