বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের ইনচার্জের পদত্যাগসহ ভাড়া কমানোর দাবিতে আন্দোলনে ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা

রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. মহসিনুল করিমের পদত্যাগ, দোকান ভাড়া কমানোসহ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের ওপর অন্যায় অত্যাচার বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের সামনে মার্কেট বন্ধ রেখে এই আন্দোলন করছেন তারা। এসময় ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা মার্কেটের ইনচার্জের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
দাবি তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের প্রধান দাবি মার্কেটের ইনচার্জের পদত্যাগ করতে হবে। পূর্বের ন্যায় দোকান ভাড়া কমাতে হবে। সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা ডিউটি কার্যকর করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারি জাতীয় ছুটির দিন মার্কেট বন্ধ কার্যকর করতে হবে।
আরিয়ান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের ওপর সবসময় জুলুম করা হয়। অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে দোকান চালাই। তারপরেও কোনো সম্মান পায় না ব্যবসায়ীরা। আমরা কোনো কথা বলতে পারি না। বললেই বেজমেন্টে নিয়ে পেটায়।’
আরেক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমাদের আগে মার্কেটের ওপর ফ্লোরে মোবাইলের দোকান ছিল। সেই দোকান নিচতলায় নিয়ে চলে এসেছে। প্রতিটা দোকানের ভাড়া আগে ১ লাখ, দের লাখ থেকে ২ লাখ টাকা নেয়া হতো। এখন মোবাইল মার্কেট নিচে এনে সেই ভাড়া ৪ লাখ টাকা নেয়া হচ্ছে।’
এক কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জুলুম করা হয়। আমরা নিজের ইচ্ছা মত দোকান বন্ধ বা খুলতে পারিনা। কর্মচারীরা ছুটি কাটাতে পারে না। এমনকি মে দিবসেও ছুটি পাই না। একদিন দোকান বন্ধ রাখলে ইনচার্জ এসে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। মালিকের কাছ থেকে ছুটি নিলেও ইনচার্জ আমাদের ওপর অত্যাচার করে। ছুটি দিতে চায় না। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে টানা ১২ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়।’
জীবন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আগে যখন মোবাইলের দোকান ওপরে ছিল তখন ক্রেতারা মোবাইল কিনতে এসে অন্যকিছুও কেনাকাটা করতো। কিন্তু এখন নিচে থেকে মোবাইল কিনে নিয়ে নিচে থেকেই ফিরে যায়। কোনো বেঁচাকেনা নেই। সবাই বসে বসে মাছি মারতে হয়। বেচাকেনা হোক বা না হোক মাস শেষেই ভাড়া দেওয়া লাগে। আমরা এই মার্কেটের ইনচার্জের অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছি না। আমরা ব্যবসায়ীরা আমাদের মত করে দোকান পরিচালনা করতে চাই।’
(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এমআই/এমআর)

মন্তব্য করুন