শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

​​​​​​​ঢাকা টাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৪| আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩০
অ- অ+

শ্রীলংকার নবম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শনিবার সকাল ৭টায় দেশটির ১৩ হাজারের বেশি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকাল ৪টায়। রাত সাড়ে ৯টায় ভোট গণনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রবিবার নাগাদ আনুষ্ঠানিক ফলাফল পাওয়া যাবে। কলম্বোকে এএফপি এ খবর জানায়।

শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন নামে একটি স্বাধীন সংস্থা নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করে। মোট ৩৮ জন প্রার্থী দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির শীর্ষ নির্বাহী পদে জয়ী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রাথমিকভাবে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৯। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রুস মোহাম্মদ ইলিয়াস আগস্টে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

দুই বছর আগে দেউলিয়া ঘোষণার পর চরম অস্থিতিশীল অবস্থার মুখোমুখি হয় দেশটি। এ অবস্থার উত্তরণ হতে যাচ্ছে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচন দেশটির সংস্কারের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

২০২২ সালে নজিরবিহীন এক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসা দেশ থেকে পালিয়ে যান। এরপর দেশটির জনগণ প্রথমবারের মতো নতুন নেতা বাছাইয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।

নেতা বাছাইয়ের সুযোগের পাশাপাশি এই নির্বাচনকে দেশটির ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সংস্কারের নির্ধারক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। গোটাবায়ার পর দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান বিক্রমাসিংহের সরকার অর্থনৈতিক সংকট কীভাবে মোকাবিলা করেছে এবং মাঝারি মানের যে উন্নতি দেখা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনকে মূলত তার ওপর একটি গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ছাড়াও বাকি তিন প্রধান প্রার্থী হলেন— বিরোধীদলীয় নেতা সামাগি জানা বালাওয়েগয়া-এসজেবির সজিথ প্রেমাদাসা, ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার-এনপিপি জোট ও জেভিপি নেতা অনুড়া কুমারা দিশানায়েক এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার ছেলে শ্রীলঙ্কা পডুজানা পেরামুনার নমল রাজাপাকসা।

ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে গত বুধবার মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। দেশটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ।

পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য সরকারি কর্মচারী যারা নির্বাচনের দিন ব্যক্তিগতভাবে তাদের ভোট দিতে পারেন না তারা আগে থেকেই পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারেন। ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস) অনুসারে এই বছর গত ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর অগ্রিম ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

২০২২ সালে নজিরবিহীন এক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসা দেশ থেকে পালিয়ে যান। এরপর দেশটির জনগণ প্রথমবারের মতো নতুন নেতা বাছাইয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।

নেতা বাছাইয়ের সুযোগের পাশাপাশি এই নির্বাচনকে দেশটির ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সংস্কারের নির্ধারক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। গোটাবায়ার পর দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান বিক্রমাসিংহের সরকার অর্থনৈতিক সংকট কীভাবে মোকাবিলা করেছে এবং মাঝারি মানের যে উন্নতি দেখা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনকে মূলত তার ওপর একটি গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছে। -বাসস

(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী যার দুধের রঙ কালো, নাম শুনলে চমকে উঠবেন
ঢাকাসহ দেশের ১০ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
এক দিনে ইয়েমেন লেবানন সিরিয়া ও গাজায় আক্রমণ, ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
আম গাছ পাকা নাকি কার্বাইডে পাকানো? চেনার সহজ উপায়
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা