শ্রীলঙ্কায় সংসদ ভেঙে দিলেন নতুন প্রেসিডেন্ট

শ্রীলঙ্কায় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। সাধারণ নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারি গেজেটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ১৪ নভেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় এক বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নিজেকে একজন সংস্কারপন্থী হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন দিশানায়েকে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার ৪৫ দিনের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেবেন। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ নির্বাচনে নিজ নীতির পক্ষে এক নতুন সমর্থন আদায় করতে চান তিনি।
ভেঙে দেওয়া ২২৫ সদস্যের সংসদে অনূঢ়া কুমারার নির্বাচনি জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) মাত্র তিনটি আসন ছিল।
এদিকে প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার তার মিত্র হরিনি আমারাসুরিয়াকে বাছাই করেছেন। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে তিনিই হলেন তৃতীয় কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী। শ্রীলঙ্কায় ২০২০ সালের আগস্টে পাঁচ বছর মেয়াদে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে তার দুর্নীতিবিরোধী ও দারিদ্র্য বিমোচন–সহায়ক নীতিতে ক্রমবর্ধমান সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয় তার জোট। ২০২২ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করে পালানোর পর এটিই ছিল দেশে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচন।
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব ও আইনপ্রণেতাদের মধ্য থেকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন প্রেসিডেন্টের সহকারী হিসেবে এবং ক্ষমতাসীন দলেরও নেতৃত্ব দেন তিনি।
অনূঢ়া গত সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কিছু আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন দিনেশ গুনাবর্ধনে। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়া আমারাসুরিয়া সংসদে এনপিপি জোটের তিন আইনপ্রণেতার একজন ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/কেএম)

মন্তব্য করুন