চুয়াডাঙ্গায় হিমেল বাতাসে তীব্র শীত অনুভূত, দিনভর দেখা মেলেনি সূর্যের

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল বাতাসের সাথে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। রাত হলে বাড়ছে ঘন কুয়াশা, সেই সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস।
এদিকে উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত বৃদ্ধি পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় গরম কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের আনাগোনা থাকায় ফুটপাতের বেচাকেনা জমজমাট হয়ে উঠেছে। নতুন কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানের দিকে ঝুঁকছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শহরের বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনের সড়কের পাশে পুরনো কাপড়ের দোকান বসেছে । এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে বসেছে পুরনো কাপড়ের পসরা।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া অফিস।
অপরদিকে হাড় কাঁপানো শীতে সারা দিনেও সূর্যের দেখা মেলেনি। সকালের দিকে কুয়াশায় যানবাহনও চলছে ধীরগতিতে। হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে শরীর উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষেরা। প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক চলাফেরাও অনেকটা থমকে গেছে। শীতের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছে না স্বল্প আয়ের মানুষেরা।(ঢাকা টাইমস/২৩জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন