বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি: বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দিলেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে অনশন কর্মসূচি চলার মধ্যে বাঁশ দিয়ে সড়ক আটকে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা না আসায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বাঁশ দিয়ে কলেজের সামনের দুই পাশের রাস্তা আটকে দেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি সংশ্লিষ্ট নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ করার ফলে মহাখালী থেকে গুলশান এবং গুলশান থেকে মহাখালী পর্যন্ত রাস্তার যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না। যে কোনো মূল্যে ৭ দফা কর্মসূচি মেনে নেওয়ার ঘোষণা আসতে হবে। যতক্ষণ এই ঘোষণা না আসবে, ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি হচ্ছে—
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।
৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় 'আইন' এবং 'জার্নালিজম' বিষয় সংযোজন করতে হবে।
৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সবশেষ ৩০ জানুয়ারি দুপুরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
এর আগের দিন ২৯ জানুয়ারি বিকাল থেকে 'তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন' লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। এ সময় তারা ৭ দফা দাবি জানান।
(ঢাকাটাইমস/২ফেব্রুয়ারি/এলএম/এফএ)

মন্তব্য করুন