আন্দোলনের মুখে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, তবে...

বহিষ্কারাদেশ বাতিলসহ ৫ দফা দাবিতে দিনভর রাজধানীর নতুনবাজার মোড় অবরোধের পর অবশেষে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের (ইউআইইউ)।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার সংক্লান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. জুলফিকার রহমানের সই করা নোটিশে জানানো হয়, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের আপিল আবেদনের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটি তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করে। পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের আদেশ ছিল, তা প্রত্যাহার করা হবে। এর পরিবর্তে তাদের ‘সাসপেন্ডেড এক্সপালশন (শর্তসাপেক্ষ বহিষ্কার)’ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
‘ফলে তারা বর্তমান স্প্রিং ২০২৫ সেমিস্টার থেকে ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন। তবে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে’ বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়। তবে শিক্ষার্থী আন্দোলন প্রত্যাহার করবে কিনা এ বিষয়ে তারা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তারা বলছেন, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার সংক্রান্ত নোটিশে বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর কন্ডিশন রয়েছে, যা আমাদের নিকট পরিষ্কার নয় এবং দাবির পূর্ণ প্রতিফলন হয়নি। তাই আমরা এখনই এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না।
তারা জানান, আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন কিনা এ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে।
এর আগে শনিবার সকাল ৮টার পর ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এসময় অল্প সময়ের জন্য শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়লেও কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা আবার একত্রিত হয়ে সড়কে নামেন এবং সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজট ও জনভোগান্তি দেখা যায়। পুরো নতুন বাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বহিষ্কারের সঙ্গে জড়িত সকল ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি সংস্কার কমিশন গঠন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিলের দাবিও জানান তারা।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এলএম/এসএ)

মন্তব্য করুন