হত্যা মামলায় কারাগারে সাবেক অতিরিক্ত আইজি ইকবাল বাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২৫, ১৯:৩৪
অ- অ+

জুলাই-আগস্টের আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় শাহিনুর বেগম নামে এক নারী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. ইকবাল বাহারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ শনিবার (২১ জুন) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই শরীফুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর কাজী রমজানুল হক আসামিকে আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মোর্শেদ আলম শাহিন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। আসামি পুলিশের একজন অতিরিক্ত আইজিপি। অসুস্থ ব্যক্তি। এই মামলার সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, একই ক্যাটাগরির মামলায় সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জামিন পেয়েছেন। গ্রেপ্তারের এক দিনের মাথায় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াও জামিন পেয়েছেন। যেকোনো শর্তে আমার মক্কেলের জামিনের প্রার্থনা করছি।

শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে ইকবাল বাহারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে শুক্রবার রাজধানীর বেইলি রোড থেকে পুলিশের সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে ঢাকার একটি ক্লাব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সেই ক্লাবে জুয়া খেলছিলেন। সেই অবস্থা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইকবাল বাহার একসময় যশোর ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি, রংপুর ও রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে তাকে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে রাজারবাগের টিএন্ডআইএমে বদলি করা হয়। ২০১৯ সালে তিনি সেখান থেকে অবসরে যান।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, চাকরিজীবনের নানা সময়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিকবার আলোচনায় আসেন ইকবাল বাহার। তার আচরণে অধীনস্থ কর্মকর্তাদের অনেকেই ছিলেন ক্ষুব্ধ। তবে তার উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগের কারণে তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাননি কেউ।

অভিযোগ রয়েছে, তার নেতৃত্বাধীন সময়গুলোতে প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা, পছন্দের বদলি, ঘুষ লেনদেন এবং অধীনস্তদের প্রতি অবমাননাকর আচরণ ছিল নিয়মিত। অনেক পুলিশ কর্মকর্তা তার আচরণে ক্ষুব্ধ ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এলএম/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কুমিল্লায় যুবলীগ সভাপতি ওমানী কাশেম গ্রেপ্তার
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত
বেনাপোলে ১৮ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
ফের এনবিআরে কলমবিরতির ঘোষণা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা