ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, আশাবাদী মির্জা ফখরুল

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছেন এবং ইতিমধ্যে অনেক কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আশা করছেন ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শরিক সব রাজনৈতিক দল সরকারকে সহযোগিতা করবে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘পুনর্মিলনী’র আলোচনা সভায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সংগ্রাম, জনগণের সংগ্রাম প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। জনগণকে আমরা স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছি যে, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। জনগণের কাছে আমাদের এটাই ছিল প্রতিশ্রুতি। এই প্রতিশ্রুতি পালনে আমরা কাজ করে যাব।’
বর্তমান রাষ্ট্রকাঠামোতে জনগণের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তাই আমরা সকলের সাথে আলোচনা ভিত্তিতে ৩১ দফা দিয়েছি, যাতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আনা যায়।’
লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের সিদ্ধান্তমতো আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গত ১০ মাসে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তাতে আমরা একটু সন্দিহান হয়ে পড়েছিলাম যে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকে আমরা অনুপ্রাণিত ও আশ্বস্ত। সভায় তারা কতগুলো বিষয়ে একমত হলেন। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের সকলের কাছে আশা সামনে এনে দিয়েছে। আশা রাখছি সামনের ফেব্রুয়ারি মাসে একটা নির্বাচন হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার কথাও বলেন মির্জা ফখরুল। ‘অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছেন। নিঃসন্দেহে তারা ইতোমধ্যে অনেক কাজ করেছেন এবং আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। আমরা আশা করব, যে সকল রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম, সবাই মিলে তাদের সহযোগিতা করব।’
সরকারের সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন সংস্কার কাজ এগিয়ে চলেছে। কতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, কতগুলো বিষয়ে একমত হচ্ছে না। যতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হবো সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। আর যেগুলোতে একমত হওয়া যাচ্ছে না, সেগুলো নিয়ে নির্বাচনের পরে আলোচনা করবো। সেগুলোতে আমরা একমত হবো।’ শুধু কথা বা আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের এই বিশাল কাজ সম্ভব হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আগামীকাল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদনের জমার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা তাদের প্রতি অনেক বেশি। আমরা প্রত্যাশা করি এই তরুণেরা, যারা বিগত আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, যাদের সহকর্মী ও কমরেডরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি তাদের নেতৃত্ব আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ উদ্দিন স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ। (ঢাকাটাইমস/২১জুন/মোআ)

মন্তব্য করুন