ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা পুলিশের

বহিষ্কারাদেশ বাতিলসহ ৫ দফা দাবিতে রাজধানীর নতুনবাজার মোড়ে আন্দোলনরত ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
শনিবার বিকালে ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
পুলিশ জানায়, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে ১০টা ৪৫ মিনিটে শিক্ষার্থীরা আবারও সড়কে ফিরে এসে অবরোধ শুরু করে।
ডিএমপি মিডিয়া উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ কোনও বলপ্রয়োগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
তবে, কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এসব তথ্য ভিত্তিহীন উল্লেখ করে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, অবরোধ চলাকালে বাড্ডা-কুড়িল সড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল চালু ছিল।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি
>> ইউআইইউ কর্তৃক অন্যায়ভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত বহিষ্কার প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
>> বহিষ্কারের সঙ্গে জড়িত সব ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
>> ইউআইইউতে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম-অসুবিধা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রিফর্ম দাবিসমূহ বাস্তবায়ন।
>> বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
>> বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করতে হবে।ইউআইইউ সূত্র ও শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের জেরে উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। যদিও ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে সরাসরি ক্লাস ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের যৌক্তিক ১৩ দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করে আসছে। উল্টো আন্দোলন দমন করতে বহিষ্কার করা হচ্ছে। গত ২ জুন ৪১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ী ও ১৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বাকি একজনকে সতর্কবার্তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এলএম/এসএ)

মন্তব্য করুন