বিরামপুরে ধানখেত থেকে হাত-পা বাঁধা সাঁওতাল নারীর মরদেহ উদ্ধার
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার একটি ধানখেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বৃষনি পাহান (৫৫) নামে এক সাঁওতাল নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার উপজেলার ২ নম্বর কাটলা ইউনিয়নের ময়নামোড় সংলগ্ন মিরাজুল ইসলামের ধানখেত থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত বৃষনি পাহান উপজেলার ২ নম্বর কাটলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেনুপুর গ্রামের মুড়াপাড়ার মৃত সাধন পাহানের মেয়ে। তিনি পেশায় একজন কৃষিশ্রমিক ছিলেন।
জানা গেছে, বৃষনি পাহান শুক্রবার সকালে পাশের গ্রাম দামারপাড়ায় একজনের জমিতে ধান কাটার কাজ করতে গিয়েছিলেন। তিনি ওইদিন আর বাড়িতে ফেরেননি বলে তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। শনিবার ধানখেতে পড়ে থাকা মরদেহ সংলগ্ন একটি উঁচু জমিতে ওই নারীর ছেঁড়া পেটিকোট ও রক্তাক্ত একটি দাঁত উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারীর নাক-মুখে আঘাতের চিহ্নসহ রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখা গেছে।
মৃতের ভাতিজা বউ পুলতি পাহান বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তার ফুফু শাশুড়ি বৃষনি পাহান পাশের গ্রামে অন্যের জমিতে ধান কাটার কাজ করতে যান। কাজ শেষেও তিনি রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। এ সময় তার পরিবারের লোকজন গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। পরে রাতে বৃষনি পাহানের কোথাও খোঁজ মেলেনি। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কাটলা এলাকায় একটি ধান খেতে বৃষনি পাহানের মরদেহ উদ্ধারের খবর পান পরিবারের লোকজন। বৃষনি পাহানের সঙ্গে কারও কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ধানখেত থেকে সাঁওতাল এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে মৃতের পরনের একটি ছেঁড়া পেডিকোট ও রক্তাক্ত দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৃষনি পাহানকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।(ঢাকা টাইমস/২৪নভেম্বর/এসএ)
মন্তব্য করুন