ওয়েস্ট ইন্ডিজে মুরাদের হ্যাটট্রিক, ভালো প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মূল সিরিজ শুরুর আগে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ফেললো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুই দিনের ম্যাচে ব্যাটিং তত ভালো হয়নি তাদের, তবে বোলাররা আশা জাগিয়েছেন, দারুণ প্রস্তুতি সেরেছেন।
অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে শেষ দিনে অসাধারণ হ্যাটট্রিক করেছেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। তার হ্যাটট্রিকের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় প্রস্তুতি ম্যাচ। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি হয়েছে ড্র।
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৫৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। যেখানে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন জাকের আলী। ১১০ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। এছাড়াও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৮৭ বলে ৪১ আর মুমিনুল এবং লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণার পর ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেনের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও কিমানি মেলিয়াস। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওভার করেন হাসান মাহমুদ। নতুন বলে বেশ ভালো সুইং পেয়েছেন হাসান। নাহিদ রানাও দেখিয়েছেন গতির ঝলক। প্রথম দিনের খেলাশেষে ১ উইকেটে ৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেন।
তবে দিনের শুরুতেই হানা দেয় বৃষ্টি। যার ফলে দ্বিতীয় দিনের সকালের প্রায় দুই সেশন ভেস্তে যায় বৃষ্টির কারণে। এরপর অবশ্য খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের পেসাররা দেখান দাপট।
তাসকিন, হাসান মাহমুদ, শরিফুলদের তোপের মুখে স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান উঠতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। বল হাতে দ্বিতীয় দিনে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৭ রানে থাকা জশুয়া ড্রনকে মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান প্যাভিলিয়নে। এরপর ইনিংসের ৯ম ওভারে জর্ডান জনসনকে বোল্ড করে নামের পাশে উইকেট সংখ্যা ডাবল করেন হাসান মাহমুদ।
তাসকিন এরপরেই ওপেনার কিমানি মেলিয়াসকে ফেরান। দলীয় ৩৮ রানে ৪. ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর অবশ্য জাস্টিন গ্রিভস আর ড্যানিয়েল বেকফোর্ডের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি।
এরপরেই হাসান মুরাদের ঝলক। ম্যাচের ২৮তম ওভারে ড্যানিয়েল বেকফোর্ড, নাভিন বিদাইসি এবং চাইম হোল্ডারকে পরপর ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। তার হ্যাটট্রিকের পরেই অবশ্য বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স ম্যাচ শেষ করে দেন।
পেসার নাহিদ রানা ও বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ছাড়া উইকেট পেয়েছেন অন্য পাঁচ বোলার। ১.৪ ওভারে ১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ। প্রথম শিকার ড্যানিয়েল বেকফোর্ড হয়েছেন এলবিডব্লু। এরপর নাভিন বিদাইসিকে বোল্ড করে বিদায় করার পর চাইম হোল্ডারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন এই অফস্পিনার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচিত একাদশের অন্য ৫টি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের তিন পেসার। হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে ১৫ রানে ও তাসকিন ৫ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। শরীফুল ইসলাম ৩ ওভারে ১২ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। নাহিদ রানা ৭ ওভারে ২৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। তাইজুল উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৭৩.২ ওভারে ২৫৩/৭ ইনিংস ঘোষণা (জাকের ৪৮, মুমিনুল ৩১, লিটন ৩১, শাহাদাত ২৫; জেয়ার ম্যাকঅ্যালিস্টার ৪৮/২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচিত একাদশ: ২৭.৪ ওভারে ৮৭/৯ (মেরিয়ুস ২৩, গ্রিভস ২০, বেকফোর্ড ১৯; হাসান মাহমুদ ২/১৫, তাসকিন ২/২১, শরীফুল ১/১২, হাসান মুরাদ ৩/১, মিরাজ ১/০)। ম্যাচের ফল: ড্র।
(ঢাকাটাইমস/১৯ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)
মন্তব্য করুন