অভিনব উপায়ে সোনা পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:২২ | প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:২৮
ফাইল ছবি

কতভাবেই না পাচার হয় মূল্যবান ধাতুটি। মাঝেমধ্যে ধরাও পড়ে। শুল্ক ফাঁকি দিতে লুকিয়ে আনা চালান নিয়ে কেউ যেন সন্দেহ করতে না পারে, সেজন্য এবার লুকিয়ে আনা হয়েছে শরীরের ভেতরে। কিন্তু বিধি বাম। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যায় শুল্ক গোয়েন্দারা। আর আটক করে পাচারকারীকে। তার শরীরের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ১২টি বার।

মালয়েশিয়া থেকে আসা ওই ব্যক্তি স্বর্ণের বারগুলো এনেছিলেন তার পায়ুপথে করে। ১০০ গ্রাম ওজনের ছিল একেকটি বার। এভাবে এক কেজি দুইশ গ্রাম স্বর্ণ তিনি নিয়ে আসেন। কিন্তু জেরার এক পর্যায়ে তিনি বের করেন এসব স্বর্ণ।

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর শাহজালাল আন্তির্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটনাটি ঘটে। এভাবে স্বর্ণ পাচার নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের মধ্যেই মুখরোচক চাওর হয়েছে।

আটক যুবকের নাম শরীফ আহমেদ। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং থানার ময়নামতি বাজারের বাসিন্দা।

শুল্ক ও গোয়ন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাতে মালিন্দ এয়ারলাইন্সের ওডি-১৬২ নম্বরের একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়া থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামে শরীফ। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় শুল্ক কমকর্তারা তার শরীরে তল্লাশি চালায়। কিছু না পেলেও তার হাঁটাচলায় সন্দেহ হয় শুল্ক কর্মকর্তাদের। পরে রাত তিনটার দিকে তাকে নেয়া হয় উইমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে এক্সরে করার পর তার পেটে তিনটি পোটলা ধরা পড়ে। পরে কর্মকর্তাদের চাপে পায়ুপথ দিয়ে তিনটি কনডমে থাকা ১২টি সোনার বার বের করেন ওই যুবক। এসব সোনার বাজারমূল্যে প্রায় ৬০ লাখ টাকা।

জিজ্ঞাসাবাদে শরীফ জানান, পায়ুপথে এসব সোনা ঢোকানোর জন্য তিনি মালয়েশিয়ায় বিশেষ প্রশিক্ষণও নেন। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও শুল্ক কর্মকর্তাদের নজরদারির হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি এই পদ্ধতি গ্রহণ করেন।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেন, আটক শরীফের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবং এসব সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হবে।

এর আগেও একই কায়দায় পাচার করে আনা স্বর্ণ একটি চালান ধরা পড়েছিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই। সে সময় জেরার মুখে পাচারকারী ব্যক্তি নিজেই পায়ুপথ থেকে সোনার চালান বের করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এই নেন আপনার রাষ্ট্রীয় সম্পদ।’

তবে বৃহস্পতিবার আটক হওয়া ব্যক্তি যত সোনা এনেছেন ২০১৬ সালের ৩ মে ধরা পড়া ব্যক্তি এনেছিলেন তার অর্ধেক। সে সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০০ গ্রাম ওজনের ছয়টি বার।

(ঢাকাটাইমস/৫জানুয়ারি/এএ/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :