‘পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে ক্ষতিগ্রস্তরা’

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৪২| আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:০০
অ- অ+

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন-জার্মানি সফরে গিয়ে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খান বাংলাদেশে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তরা এই মামলা করবে বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত সুধী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির যে অভিযোগ করেছিল বিশ্বব্যাংক, তা এখন অসত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক যে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল, সেই কারণে একজন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। একই কারণে এক সচিবকে কারাগারে যেতে হয়েছিল- যা দুঃখজনক। এতে সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা চাইলে বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করতে পারবে। আর আমি বিশ্বাস করি ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ উত্থাপন করবে।’

দেশের সবচেয়ে বড় সেতু প্রকল্প দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তুলে ২০১০ সাল থেকেই ঋণ নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে বিশ্বব্যাংক। আর ২০১২ সালের ৩০ জুন এক বিবৃতিতে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি তারা বাতিল করে। পরে জাইকা, এডিবি ও আইডিবিও ঋণচুক্তি বাতিল করে।

এরপর সরকার নিজ অর্থায়নে সেতুর কাজ এগিয়ে নেয়। সম্প্রতি কানাডার একটি আদালত সে দেশে এই সংক্রান্ত একটি মামলা নাচক করেছে। বিচারক বলেছেন, পদ্মাসেতুতে দুর্নীতিচেষ্টার যে অভিযোগ আনা হয়েছিল সেটা ছিল গালগপ্প। গুজবের ওপর ভিত্তি করে এই মামলা করা হয়েছিল।

এই মামলার রায় প্রকাশের পর বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, দায়মুক্তি দেয়া থাকায় বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব নয়। তবে জার্মানির মিউনিখে ইউরোপ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করায় ক্ষতিগ্রস্তরা বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা করতে পারেন।’

বিশ্বব্যাংক এই অভিযোগ তোলার পর সে সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের পদও হারান। আর সে সময়ের যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন কারাগারে যান।

কানাডা আদালতের রায় প্রকাশের পর গণমাধ্যমে আবুল হোসেন বিবৃতি পাঠিয়ে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে মিথ্য ছিল সেটি প্রমাণ হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না-সে বিষয়ে তিনি ওই বিবৃতিতে কিছু বলেননি।

সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়াজউদ্দিন খান, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান, কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার, সাবেক কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, সাবেক কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সবুজ হাওলাদার প্রমুখ।

সভায় সভাপত্বি করেন কালকিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আব্দুল মালেক হাওলাদার।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হ্যামিল্টন টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের দাপটে কোণঠাসা ইংল্যান্ড
সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধানের একান্ত সচিব শিহাব উদ্দীন
যে কারণে কাউন্সিল পেছালো এবি পার্টি
দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংস্কারের পথ সুগম করুন, সরকারকে ফখরুল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা