মানব পাচার মামলায় সেই বাবু কারাগারে
জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, নিজ বাসায় অবৈধ পতিতা পল্লী নির্মাণ, ভুয়া তালাকনামা তৈরি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত মানবধিকার পরিচয়দানকারী আবু সাবাহ ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাবুকে মানবপাচার মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে করা মানবপাচার মামলায় বাবু আদালতে আত্মসমর্পণ করলে মানবপাচার প্রতিরোধ ও অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের জেলা জজ হাসিনা রওশন জাহান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
আবু সাবাহ ফেরদৌস হোসেন বাবু মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার আনসার আলীর ছেলে।
এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন-বাবুর স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা, পৌর এলাকার পৌলী গ্রামের মৃত ফাইজুদ্দিনের ছেলে ফালাক ও একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে পিন্টু।
মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ জানুয়ারি মামলার বাদী সোনালী আক্তার ও তার স্বামী মো রুবেল দেওয়ানকে ভাল বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের পতিতা পল্লীতে এক লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এরপর বাদী ও তার স্বামী ঐ পতিতা পল্লী থেকে পালিয়ে গেলেও ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে চার মাস কারা ভোগ করে।
এরপর তারা জামিনে দেশে ফিরে বাদী ও তার স্বামী বাবুর কাছে তাদের টাকা ফেরত চাইলে বাবু তাদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশি হয়রানির ভয় দেখায়। এরপর গত বছরের ৩০ মার্চ সোনালী আক্তার বাদী হয়ে মানবপাচার প্রতিরোধ ও অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে বাবুর বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত তা আমলে নেয়।
বাবুর বিরুদ্ধে নারী পাচার ছাড়াও চাঁদাবাজি, নিজ বাড়িতে অবৈধ পতিতা পল্লী নির্মাণ, নারী নির্যাতন ও ভুয়া তালাকনামা তৈরির মামলা রয়েছে।
মানবধিকার পরিচয়দানকারী আবু সাবাহ ফেরদৌস হোসেন বাবুর বিভিন্ন অপকর্মের শাস্তির দাবিতে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ।
(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/প্রতিনিধি/জেডএ)
মন্তব্য করুন