রাষ্ট্রপতির কাছে মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন মৃত্যুদণ্ড পাওয়া হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান। ২০০৪ সালে সিলেটে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় এই জঙ্গিনেতা ও তার দুই সহযোগীর ফাঁসির চূড়ান্ত আদেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ।
সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী মুফতি হান্নান রাষ্ট্রপতির কাছে এই আবেদন করেন বলে জানিয়েছেন জেল সুপার মিজানুর রহমান। এখন রাষ্ট্রপতি তার আবেদন মঞ্জুর করে অন্য কোনো সাজা বা এই দায় থেকে মুক্তি দিতে পারেন। আর তিনি তা অগ্রাহ্য করলেই মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগীর দণ্ড কার্যকর হবে।
মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আসামির রিভিউ আবেদন খারিজ হয় ১৯ মার্চ। পরদিন মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয় তাদেরকে। আর সেদিনই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের কথা জানান তারা।
কারা মহাপরিদর্শক ইফতেখার উদ্দীন আহমেদ পরদিন জানিয়েছিলেন, এই আবেদন করতে তিন আসামি সাত দিন সময় পাবেন। আর সাত দিন পর সকালে সিলেট কারাগারে বন্দী মুফতি হান্নানের এক সহযোগী রিপন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান।
কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আবেদন করেন মুফতি হান্নানও। তবে তখনও তার আরেক সহযোগী বিপুল এই আবেদন করেননি।
তবে আবেদনে মুফতি হান্নান কী লিখেছেন, সে বিষয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান কিছু বলেননি।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত।
এরপর রায় অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।
২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত এই দণ্ড বহাল রাখে। পরে ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর এই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে ১৭ জানুয়ারি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করা হয়। ১৯ মার্চ রোববার রিভিউ খারিজ হয়ে যায়। পরে রিভিউ খারিজের রায় মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।
ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি