‘ভোট দিলেও আমরার কোনো কাজ অয় না’

আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ থেকে
  প্রকাশিত : ৩১ মে ২০১৭, ১৬:৪৪
অ- অ+

নেই কোনো ঘর, নেই কোনো খাবারের ব্যবস্থা। বৃদ্ধের বয়স ৮০ বছর ছাড়িয়েছে। চেহারায় অপুষ্টির চিহ্ন, কিন্তু মনোবল চাঙা। একসময় পৈত্রিক ভিটেবাড়ি ছিল কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ধুলজুরী এলাকায়। এ ওয়ার্ডের ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে তার। এমনই এক দম্পতি বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম (৮৪) ও বৃদ্ধা বকুলা খাতুন (৬৫)। হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সড়কের ঢেকিয়া ব্র্যাক অফিসসংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন স্যানিটারি ফ্যাক্টরিতে খোলা আকাশের নিচে প্রায় এক হাজার ৭০০ দিন ধরে মানববেতর জীবন যাপন করছেন তারা। রাত হলেই এই দম্পতি একটু আশ্রয় নেয়ার জন্য তিন ফুট প্রস্থ ও ছয় ফুট দৈর্ঘে্যর ঢালাই পাইপের মধ্যে রাত্রি যাপন করে।

নিঃসন্তান এই দম্পতির ভিটে বাড়ি ও সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই। সকালে খালি পেটে বেরিয়ে পড়েন দুই মুটো অন্নের জন্য। তাদের হাতে প্লাস্টিকের বস্তা ও ভিক্ষার ঝুলি। অন্যের কাছে হাত বাড়িয়ে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন।

বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘হায়রে পোড়া কপাল, কমিশনার ও মেয়র পদে ভোট দিলেও আমরার কোনো কাজ অয় না। পরদিন কী খামু তার কোনো আশা নেই।’

স্ত্রী বকুলা জানান, ‘হুনছি (শুনছি) অনেক মাইনষেরে (মানুষকে) সরকার ঘর দিছে, আমরার (আমাদের নাম) নাম নেই তালিকায়।’

স্বামী নূরুল ইসলামের নামে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড থাকলেও স্ত্রী বকুলার নামে কোনো ভাতার ব্যবস্থা হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/৩১মে/প্রতিনিধি/জেবি)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দিনের ভোট রাতে নয়, দিনেই হবে: মঈন খান
পুনাকের উদ্যোগে সারা: জুলাই বিপ্লবে আহত পাঁচশতাধিক ব্যক্তি পাচ্ছেন আর্থিক সহায়তা
ভারতের মুখে হিন্দু প্রেম, অন্তরে আওয়ামী প্রেম: মঞ্জু
পাবনায় ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে বাড়ছে ভিড় 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা