কৃষিকাজে দারিদ্র জয় করে এখন ভূস্বামী রহিমা
একসময় সংসারে অভাব লেগেই থাকত তার। নারী বলে পিছিয়ে থাকতে চাইলেন না। প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জয় করেছেন দারিদ্র্য। আর্থিক টানাপোড়েনের মাঝেই কৃষিকাজে হাত দেন। একসময় সফলতা দেখা দেয়। এখন তিনি সচ্ছল ভূস্বামী। কিনেছেন অনেক জমিজমা। ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় পড়াচ্ছেন।
বলা হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাহিমা বেগমের কথা। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের মিলন তালুকদারের স্ত্রী রাহিমা।
তার কৃষিকাজের সফলতা দেখে আশপাশের গ্রামের নারীরাও এখন কৃষিকাজের ওপর ঝুঁকে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে কথা হলে রাহিমা ঢাকাটাইমসকে জানান, ২০১৪ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্যা “বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি” (বিডিএস) কলাপাড়া শাখায় ভর্তি হয়ে প্রথমে ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। সেই ঋণের টাকা দিয়ে বিভিন্ন রকমের রবিশস্য ফলাতে শুরু করেন।
এর মধ্যে রয়েছে লালশাক, ঝিঙ্গা, কড়লা, ঢেরশসহ নানান শাকসবজি। ক্ষেতের বিভিন্ন সবজি বাজারে বিক্রি করে ধাপেধাপে ঋণের টাকা পরিশোধ করেন। একই সঙ্গে প্রকল্প উন্নত প্রযুক্তিতে পরিচালনার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনে লোকবল নিয়োগ করেন।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে বিডিএস থেকে ৪র্থ বার ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ওই টাকা দিয়ে আবার বেশি জমি নিয়ে সবজি চাষ শুরু করেন। তার ক্ষেতে বার মাসই সবজি উৎপাদিত হয় বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান।
রাহিমা বেগমের স্বামী মিলন তালুকদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, সবজি বিক্রি করে তাদের পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করছেন। শুধু তাই নয়, সবজি বিক্রির অর্থ দিয়ে তিনি বিশ কাঠা জমিও কিনেছেন। এছাড়া তার বিডিএস সংস্থায় সঞ্চয়সহ ব্যাংকেও ডিপিএস রয়েছে।
মোসা. রাহিমা বেগমের সাফল্য সম্পর্কে বিডিএস কলাপাড়ার শাখা ব্যবস্থাপক মো.মিজানুর রহমান বলেন, কঠোর পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। কৃষিকাজ করে তিনি দারিদ্রকে জয়ী করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে দেখে এখন অন্য নারীরাও কৃষিকাজে ঝুঁকছেন।
(ঢাকাটাইমস/০২জুন/প্রতিনিধি/ইএস)
মন্তব্য করুন