চালের দাম বাড়িয়েছে বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ীরা: খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম বৃদ্ধির জন্য বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, কিছু মিল মালিক, অসাধু ব্যবসায়ী, মজুতদার ও বিএনপিপন্থি কিছু ব্যবসায়ী কারসাজি করে চালের দাম বাড়িয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই দাবি করেন তিনি।
সম্প্রতি সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের বেশ কয়েকটি হাওরে অকাল বন্যা দেখা দিলে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চালের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানেই কেজিতে দাম বাড়ে পাঁচ থেকে সাত টাকা।
কিছু ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণে চালের দাম বেড়েছে বলে বিভিন্ন সময় দাবি করেন কামরুল ইসলাম। সংকট না হতে বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
আজকের অনুষ্ঠানে চালের দাম বাড়ার পেছনে বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ীদের দায়ী করে কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। বলেন, বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ীরা ষড়যন্ত্র করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে।
এ সময় চাল আমদানির ওপর যে ট্যাক্স রয়েছে তা তুলে দেয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপিকে নিয়েও কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। আর আমরাও বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করতে চাই না, ফাঁকা মাঠে খেলতে চাই না।’
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতারা যত কথাই বলুক, আমরা বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই।’
সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে বিএনপির জন্য ভোট চেয়েছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার বলে কিছুই নেই। সহায়ক সরকারসহ তারা যেসব কথা বলছে সেটা জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা গোলাম কুদ্দুস, কবি কাজী রোজী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এমআর
মন্তব্য করুন