সৌদি যুবরাজের প্রশংসায় সাধারণ জনগণ
সৌদি আরবে দুর্নীতি দমন অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ।
দুর্নীতির অভিযোগে সৌদি ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালালসহ ১৭ যুবরাজ, বর্তমান ও সাবেক ১৪ মন্ত্রীকে আটক করেছে সৌদি পুলিশ। যার নেতৃত্বে ছিলেন ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবের ইতিহাসে এই প্রথম রাজ পরিবারের একাধিক সদস্য দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন। সৌদির নাগরিকদের কাছে এই বিষয়টি ছিল অকল্পনীয়। অবিশ্বাস্য এই ঘটনা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে সৌদি জুড়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়।
সাধারণ মানুষ আরবভাষী বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদ দেখে শুনেও নিজেদের চোখ-কানকে বিশ্বাস করতে পারছিল না, যতক্ষণ না সৌদি আরব প্রেস এজেন্সি সংবাদটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাদ দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল আরাবিয়া জানান, রাজপরিবার ও দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদেরকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ।আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও তেল কোম্পানি আরমকোর বোর্ড সদস্য ইব্রাহিম বিন আসাফ , বর্তমান অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী আদেল ফাকিয়েহ, রিয়াদের সাবেক গভর্ণর প্রিন্স তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ এবং সাবেক বাদশাহ আব্দুল্লাহের আমলে রয়্যাল কোর্টের প্রধান খালিদ আল তুয়াইজিরি।
এছাড়া বিন-লাদেন কনস্ট্রাকশন গ্রুপের চেয়ারম্যান বকর বিন লাদেন, এমবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মালিক আওয়ালিদ আল ইব্রাহিম, প্রিন্স তুর্কি বিন নাসের , অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ বিন সুলতান, ন্যাশনাল গার্ড মন্ত্রী প্রিন্স মিতেব বিন আব্দুল্লাহ , প্রিন্স মিতেব সাবেক বাদশাহ আব্দুল্লাহর পুত্র যাকে বাদশাহ সালমানের উত্থানের আগে সৌদি সিংহাসনের যোগ্য উত্তরসূরী মনে করা হতো। আটককৃতদের মধ্যে ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল হচ্ছেন আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত।
গ্রেপ্তারের সংবাদট প্রচার হলেই যুবরাজ মোহাম্মদ সালমানের প্রশংসা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। একই সঙ্গে সৌদি আরবের বাইরে আরব রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, মূলত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা বা ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন সব ব্যক্তিবর্গকে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/এসআই)