এইচএসবিসি অ্যাওয়ার্ড পেল রপ্তানিকারক পাঁচ প্রতিষ্ঠান
হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে এক জমকালো অনুষ্ঠানে চারটি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রথম ক্যাটাগরিতে ‘তৈরি পোশাক শিল্প’-এ বছরের সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছে স্কয়ার ফ্যাশন্স লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ২৫টি ব্র্যান্ডের পণ্য বিশ্বের ৭৫টি দেশে রপ্তানি করা হয়।
একই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে তারাশিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরু করে বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করছে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে ‘সাপ্লাই চেইন ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ অ্যাপারেল’ প্রতিষ্ঠান। এ ক্যাটাগরিতে বছরের সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছে এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড। ২০০৫ সাল থেকে কাজ শুরু করা এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বিশ্বের ২১টি দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করছে।
তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ‘সনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্রে’ বছরের সেরা রপ্তানিকারক নির্বাচিত হয়েছে সীফুড রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সীমার্ক লিমিটেড। ২০০২ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ প্রতিষ্ঠান বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে সী ফুড রপ্তানি করে।
চতুর্থ ক্যাটাগরিতে ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প’-এ সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে নীলফামারীতে অবস্থিত ক্ল্যাসিকাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের ৩৩টি দেশে হাতে তৈরি গৃহসজ্জা সামগ্রী রপ্তানি করছে এ প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য রপ্তানিকারকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন অর্থনীতিতে দেশকে ডুবিয়েছিল। তাদের সময় দেশের বার্ষিক রপ্তানি আয় ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। সেই আয় এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে বার্ষিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আগে আমাদের বাজেটে রপ্তানি থেকে যা আয় হতো তা পেতাম কৃষিজাত পণ্য থেকে। এখন দিন বদলে গেছে। এখন দেশের একটি বড় আয় আসে শিল্প খাত থেকে। উদ্যোক্তারা দেশের জন্য যা করে যাচ্ছেন তা কখনোই ভুলবার নয়।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেক ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সওয়া দ্য মেরিকো।
(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/এসও/এমআর)