‘ঘুমের বড়ি খেয়ে নিদ্রামগ্ন ইসি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ জুলাই ২০১৮, ১৪:২৪ | প্রকাশিত : ২২ জুলাই ২০১৮, ১৪:১৮

তিন মহানগরে ভোটের প্রচারে সরকার সমর্থক প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চললেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

দলের মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভীর দাবি, পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। অথচ নির্বাচন কমিশনার ঘুমের বড়ি খেয়ে নিদ্রামগ্ন।

রবিবার নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট নেয়া হবে। এর আগে গত ১৫ মে খুলনা এবং ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় ব্যবধানে হেরেছে বিএনপি। তখনও ভোটের প্রচার চলাকালে বিএনপি এখনকার মতোই গণগ্রেপ্তার, তাদের ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনে।

রিজভী বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা প্রদান করা হচ্ছে।’

‘গত পরশু দিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দেয়া তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভোটারদেরকে ভয় পাইয়ে দেয়াই এই পুলিশি অভিযানের মূল লক্ষ্য।’

ভোটের প্রচার চলার পর থেকেই এই ঘটনাগুলো ঘটছে অভিযোগ করে রিজভী নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ আনেন।

বিএনপি বলেন, ‘ইসি শুধু নীরব নয় বরং সরকারের অনুষঙ্গ হিসেবেও কাজ করছে তারা।… সরকারি দলের প্রার্থীকে জেতানের জন্য প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডারদের দাপটে ভোটাররা আতঙ্কিত, অথচ এসব বিষয়ে নির্বাচনে কমিশনে হাজারো অভিযোগ দাখিল করলেও কখনও কোনো পদক্ষেপ কমিশনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি।’

‘মনে হয় তারা চমকপ্রদ ঘুমের বড়ি খেয়ে নিদ্রামগ্ন থাকেন’- বলেন রিজভী।

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে বিশ্বস্ততার সহিত দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছেন। কিন্তু খুলনা-গাজীপুরসহ চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে ঢালাও অনিয়ম ও অনাচারে সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থা তছনছ হওয়ার পরেও তাদের নীরব দর্শকের ভূমিকা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও অপ্রত্যাশিত।’

উন্নয়ন গায়েব হচ্ছে

শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া গণসংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেরও জবাব দেন রিজভী। প্রধানমন্ত্রী তার শাসনামলে ব্যাপক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ভবিষ্যত পরিকল্পনাও তুলে ধরেন।

রিজভী বলেন, ‘গতকাল গণসংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে উন্নয়নের কথা বললেও তার সরকারের লোকজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা যেসব গায়েবের উন্নয়ন হচ্ছে সে কথা বলেননি।’

‘আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের ২২ ক্যারেটের সোনা ১৮ ক্যারেটের সোনা হয়ে যায়। জলি সোনা মিশ্র ধাতু হয়ে যায়। আবার বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে আড়াই লাখ টন কয়লা গায়েব হয়ে যায়।’

‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে উন্নয়নের কথা বললেও এসব গায়েবের উন্নয়নের কথা বলেননি। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের উন্নয়ন না করলেও দলীয় নেতাকর্মীদের উন্নয়ন করছেন।’

মানুষকে কষ্ট দিয়ে, ঢাকাবাসীকে রুদ্ধশ্বাসে রেখে সংবর্ধনার নামে মানুষকে কষ্ট দিয়ে আদিখ্যেতা করা হয়েছে বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা।

(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/বিইউ/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :