দ্বিগুণ মজুরি বাড়ল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের শ্রমিকদের

ফাইল ছবি

জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের সুপারিশের আলোকে মজুরি বাড়াতে ‘পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলী) বিল-২০১৮’সংসদে পাস হয়েছে। আর তাতে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ল দ্বিগুণ।

আজ বৃহস্পতিবার সংসদে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করেন।

নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ৮ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মজুরি হবে ১১ হাজার ২০০ টাকা। আগে এই শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৪ হাজার ১৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মজুরি ছিল ৫ হাজার ৬০০ টাকা।

২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন মজুরি এবং ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভাতা কার্যকর ধরা হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়।

গত জুলাই মাসে বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ১০ সেপ্টেম্বর তা সংসদে তোলা হয়। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পাঠঅনো হয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে আজ সংসদে বিলটি পাস হলো।

এই আইনের আওতায় পড়েন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনে কর্মরত শ্রমিকরা।

জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংগঠনগুলো ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১৬ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছিল।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খানকে চেয়ারম্যান করে ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫’গঠন করা হয়। এই কমিশন শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ৮ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করে গত বছরের ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/মোআ)