পাবনায় মাচায় চাষ হচ্ছে তরমুজ, স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক
পাবনার সাঁথিয়ায় মাচায় চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকেরা। নতুন জাতের এ তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন হওয়ায় একে অন্যের দেখা দেখি অনেকেই এগিয়ে এসেছেন তরমুজ চাষে।
সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের পূর্ব মল্লিকপাড়ায় মাচায় করে গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়াও পড়েছে।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট কৃষি খাতের আওতায় প্রোগ্রামস ফর পিপলস ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত বেড়া শাখার আওতায় এ পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।
গত বছর সাঁথিয়ার করমজা গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের ছয় একর জমিতে নতুন জাতের এই তরমুজ চাষ করেন। এতে মোটামুটি লাভবান হওয়ায় এবছর ১২জন কৃষক এক হেক্টর জমিতে চাষ করছেন নতুন জাতের এই তরমুজ।
পিকেএসএফ সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি তরমুজের ওজন গড়ে ২-৩ কেজি হয়। সাইজে ছোট হওয়ায় সকলের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে থাকে। এই তরমুজ খেতে অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। আর এই তরমুজ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে মালচিং পেপার। এই পেপারে ফসল চাষ করলে মাটির আর্দ্রতা ঠিকঠাক থাকে, জমিতে আগাছা হয় না এবং রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়।
কৃষকরা জানান, আশা করছি এই তরমুজ বিক্রি করে অনেক ঢাকা আয় করতে পারবো। তরমুজ চাষের নতুন এই পদ্ধতি দেখে কৃষকেরাও খুশি। আগামীতে এই প্রযুক্তিতে তরমুজ চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তারা।
কৃষক আবুল খায়ের বলেন, ‘গত বছর আমি এই পদ্ধতিতে ছয় একর জমিতে তরমুজ চাষ করি। এতে মোটামুটি ভালো লাভ হয়। এবার আমি দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার দেখাদেখি এবার অনেক কৃষক মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন। একবার বেড তৈরি করলে তিনবার ফসল ফলানো যায় এত খরচও কম হয়। এবছরও ভালো লাভ হবে বলে আশ করছি।’
পিপিডির কৃষি কর্মকর্তা অনুপ কুমার ঘোষ বলেন, মল্লিকপাড়ায় মালচিং পদ্ধতির মাধ্যমে ২০২৩ সালে মাত্র দুইজন কৃষকের মাধ্যমে ২০ শতক জমিতে প্লট আকারে শুরু করা হয়েছিল গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে ১২ জন হয়েছে। আর চাষ হয়েছে এক হেক্টর জমিতে। এজন্য চাষিদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার জানান, মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে। পিপিভির সঙ্গে আমরাও কৃষকদের নিয়ে একাধিকবার উঠান বৈঠক করেছি। করমজা গ্রামের প্রতিটি তরমুজ চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিষমুক্ত চাষাবাদ করার পরামর্শের পাশাপাশি সকল পরামর্শ দিয়ে আসছি।
(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)