আর্টিজান হামলা: হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০১৮, ১৫:০৮| আপডেট : ২৪ জুলাই ২০১৮, ০০:২৮
অ- অ+
হামলার পরদিন ভোরে আর্টিজান রেস্টুরেন্টের ছাদে দু্ই যুবকের সঙ্গে হাসনাত করিম (সাদা গেঞ্জি পরা)

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নর্থ সাউথ ইউনির্ভার্সিটির শিক্ষক হাসনাত আর করিমের সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ। তাকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।

এই হামলার ঘটনায় মোট ২১ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা যাদের মধ্যে জীবিত আট জন। হামলার পর সেনা কমান্ডো অভিযানেই নিহত হন হামলাকারী পাঁচ জঙ্গি। আর আটজন নানা সময় পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে প্রাণ হারান।

২০১৬ সালের ১ জুলাই দেশ কাঁপানো এই হামলার সময় হাসনাত করিম এবং তার স্বজনরাও ছিলেন রেস্টুরেন্টটিতে। কিন্তু জঙ্গিরা তাদের কাউকেই কিছু বলেনি। আবার হামলার পরদিন ভোরে রেস্টুরেন্টের ছাদে হাসনাত করিমের সঙ্গে হামলাকারী একাধিক তরুণকে দেখা গেছে। পাশের ভবন থেকে একজন কোরিয়ান নাগরিকের ধারণ করা ভিডিওতে মনে হয়েছে তারা সেখানে আলোচনা করছেন।

এ কারণে হাসনাত করিম এই হামলায় জড়িত বলে সে সময় ধারণা করা হয়। আবার নর্থ সাউথে শিক্ষকতা করার সময় উগ্রপন্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা এবং এই সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ আছে হাসনাতের বিরুদ্ধে।

জঙ্গি হামলার পর সেনা অভিযানে উদ্ধার জঙ্গিদের মধ্যে ‘রহস্যজনক’ আচরণের কারণে হাসনাত করিমকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর হাসনাতকে ছেড়ে দেওয়ার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও তাকে আর ছাড়া হয়নি।

পওে ৩ আগস্ট রাজধানীর একটি বাড়ি থেকে হাসনাত করিমকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪ আগস্ট প্রথম দফায় হাসনাতের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট হলি আর্টিজান মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২৪ আগস্ট হাসনাত করিমের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। হাসনাত করিম বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

তবে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পর সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম নিশ্চিত করেন, তারা যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন, তাদের মধ্যে হাসনাত করিমের নাম নেই।

মনিরুল বলেন, ‘ হামলার ঘটনায় ২১ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি। এরমধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। নিহতদের ভূমিকা উল্লেখ করে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি আটজনকে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই জন এখনও পলাতক।’

ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এএ/ডব্লিউবি

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিএনপি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চায়: আমিনুল হক 
ঢাকা-বেইজিং অংশীদারিত্ব এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বেইলি রোডে ৩৪ কোটি দামের কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিদেশি মদসহ ৪ জন আটক
দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২০ ডলার, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা