সচিবালয়ে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ চলছেই। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) নিরাপত্তাবলয় ভেঙে বিক্ষোভ-মিছিল করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টানা চতুর্থ দিনে গড়াল তাদের আন্দোলন।
একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সারা দেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
সচিবালয় ও সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রার ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায় সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।
আজ বেলা ১১টার দিকে নিরাপত্তাবলয় ভেঙে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিক্ষোভের সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কালো আইন’, ‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’, এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দেন।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
কড়াকড়ি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে সচিবালয়ের প্রধান ফটকে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াত এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সরকার দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া আর কেউ সেখানে ঢুকতে পারছেন না।
এদিকে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের আমলাদের উৎখাতে ‘ফ্যাসিবাদ উৎখাত যাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীত পাশে অবস্থান নিয়েছে জুলাই মঞ্চ।
সচিবালয়-এনবিআরসহ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের আমলাদের উৎখাতের দাবি নিয়ে গতকাল ‘ফ্যাসিবাদ উৎখাত যাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটি।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ -এর খসড়া অনুমোদন করে।
কর্মচারীদের অভিযোগ, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশটি করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদনের পর থেকেই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭মে/মোআ)

মন্তব্য করুন