‘বিতর্কিত’ আউটে ফিরলেন লিটন

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৪৬ | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৩০

আম্পায়ারের ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরে গেলেন লিটন দাস। দলীয় ১৮৮ রানে কুলদীপ যাদবের বলে স্ট্যাম্পিং হয়েছেন লিটন দাস। কুলদীপ যাদবের করা ইনিংসের ৪১তম ওভারের শেষ বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু ব্যাটে বলে হয়নি। উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি বলটি গ্রিপে নিয়েই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন।

ফিল্ড আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। তারা তৃতীয় আম্পারের স্মরণাপন্ন হন। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু টেলিভিশনে দেখে মনে হয়েছে ধোনি স্ট্যাম্প ভাঙার আগেই লাইনে লিটনের পা স্পর্শ করেছে। আর লিটনের পা মাটিতেই ছিল। অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার রড টাকারের এই সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। ফেরার আগে ১২১ রান করেছেন লিটন দাস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।

এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৮ ওভারে ৮ উইকেটে ২২১ রান।

বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে আজ দারুণ সূচনা করে। ওপেনিং জুটিতে ১২০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। ইনিংসের ২১তম ওভারে কেদার যাদবের বলে আম্বাতি রায়ডুর হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৩২ রান। ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। আর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এই প্রথম ওপেনিং জুটিতে শতরান করল।

মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামে ইমরুল কায়েস। কিন্তু তিনি সুবিধা করতে পারেননি। ১২ বলে দুই রান করে তিনি ফিরে যান সাজঘরে। দলীয় ১২৮ রানে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিয়েও শেষরক্ষা হয়নি ইমরুল কায়েসের। তাকে সাজঘরে ফিরে যেতেই হয়েছে।

এরপর দলীয় ১৩৭ রানে কেদার যাদবের বলে জ্যাসপ্রীত বুমরাহর হাতে ক্যাচ হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। নয় বল খেলে পাঁচ রান করেছেন তিনি। দলের রান যখন ১৩৯ তখন রান আউট হন মোহাম্মদ মিথুন। চার বল খেলে দুই রান করেন তিনি।

এবারের এশিয়া কাপে শুরু থেকেই বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি হতাশ করেছে। কিন্তু আজ লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেন। ওপেনিংয়ে ১২০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা। এশিয়া কাপে এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারে ও দলীয় এক রানে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙে। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলীয় ১৫ রানে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল। সুপার ফোর পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল দলীয় ১৫ রানে।

তারপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষেও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় পাঁচ রানে ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল বাংলাদেশের।

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের পরিবর্তে একাদশে ঢুকেছেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। সাকিব আল হাসান ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলছেন না। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষেও তিনি খেলেননি। একাদশে নাজমুল ইসলাম অপুর সংযোজন নিশ্চয়ই দলের বোলিং লাইন আপ শক্তিশালী করবে।

বাংলাদেশ এবার তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলছে। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালের আসরে বাংলাদেশ ফাইনালে খেলেছিল। কিন্তু দুইবারই রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে টাইগারদের। বাংলাদেশকে।

(ঢাকাটাইমস/২৮ সেপ্টেম্বর/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :